মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরে জেলা আওয়ামী লীগের এক আওয়ামী লীগের নেতার ওপর হামলা মারধরের শিকার হয়েছেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধায় শহরের কালিঘাট এলাকার বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
আহত আওয়ামী লীগ নেতার জি.এস.এম মিজানুর রহমান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
আহত মিজানুর রহমানকে একদল দুর্বৃত্ত ব্যাপক মারধর করেন। পরে তিনি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আটক আরিফুল হাসান ওরফে মুক্তা (৩৫)। শহরের মিয়াপাড়া এলাকার মৃত আনসার আলীর ছেলে এবং জামালপুর শহর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকালে শহরের বাইপাস সড়কে আওয়ামী লীগের ওই নেতা হাঁটতে বের হন। শহরের কালিঘাট এলাকায় ওই সড়কে একদল দুর্বৃত্ত যুবক একজন মোটরসাইকেল আরহীকে আটকিয়ে মারধর করার চেষ্টা করছিল।
এ সময় ওই নেতা ওইসব যুবকদের কাছ থেকে ওই আরহীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই যুবকরা ওই নেতার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজনের অনুরোধে ওই নেতা সেখান থেকে আবারও হাঁটতে চলে যান।
পরে সন্ধ্যার দিকে ফেরার পথে ওই এলাকায় পরিকল্পিতভাবে ওই নেতার ওপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং সেখান থেকে ওই যুবককে আটক করে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হামলার ঘটনায় যাঁরা ছিলেন তাঁরা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ওই নেতার মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সময় জার্নাল/এলআর