জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি:
দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ও বয়সীমা ৩৫ করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটকের সামনে 'রাজশাহী জেলা ৩৫ বাস্তবায়ন কমিটি'র ব্যনারে কর্মসূচিটি পালিত হয়।
এসময় উপস্থিত চাকরি প্রার্থীরা '৩০ এর শৃঙ্খলা ভেঙে দেও, গুড়িয়ে দেও', 'সকল প্রতিষ্ঠানের আবেদনের ফি ২০০ টাকা করতে হবে', 'আমরা চাকরি চাই না, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চাই' ও '৩৫ হোক চাকরিতে প্রবেশের বয়স' ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা চাকরির আবেদন ফি সর্ব্বোচ ২০০ টাকা নির্ধারণ (১ম শ্রেণীতে ২০০ টাকা, ২য় শ্রেণীতে ১৫০ টাকা, ৩য় শ্রেণীতে ১০০ টাকা, ৪র্থ শ্রেণীতে ৫০ টাকা) করার দাবি জানান। প্রয়োজনে সরকারকে ভর্তুকির উদ্যোগ নিতেও আহ্বান জানান তারা।
এসময় ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এর পাতা ৩৩ অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয় । এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল' কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল স্থাপনের দাবি জানান তারা।
কর্মসূচিতে সংগঠনটির রাজশাহী জেলা শাখার আহবায়ক ইনজামাম-উল-হক বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমরা চাকরির বয়স ৩৫ করার জন্য আন্দোলন করছি। চাকরির আবেদন ফি করা হয়েছে হাজারের উপরে। যা একটি প্রহসনমূলক ফি। যা ছাত্র সমাজকে ভোগান্তিতে ফেলে। ২০১৮ সালের ইশতেহারে বলা ছিল চাকরির বয়স সীমা ৩৫ থাকবে।কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন হয় নাই।
করোনার কারণে আমাদের ২-৩ বছর নষ্ট হয়েছে। যার ফলে আমরা চাকরিতে আবেদন করতে পারছি না।
এছাড়া তিনি আরও বলেন,আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সেশনজটের কারণে স্নাতক/ স্নাতোকত্তর শেষ করতে ২৭/২৮ বছর চলে যায়। চাকরির প্রস্তুতি নিতে ৩০ বছর পার হয়ে যায়। তাহলে আমরা চাকরি করব কিভাবে? ভারত এবং পার্শ্ববর্তী দেশে চাকরির বয়স সীমা ৩৫ এর উর্ধ্বে। আগামী ৩আগস্ট থেকে ৮সেপ্টেম্বর আমরা নায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সংগঠনটির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব সাদ বলেন,করোনার কারণে সকল চাকরির বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন যাদের বয়স ২৭/২৮ ছিল তারা তো চাকরির আবেদন করার কোন সুযোগ পাই নাই। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিবে। আমাদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছানোর সুযোগ দিচ্ছে না কিছু কুচক্রী মহল।আমরা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে দাবিগুলো তার কাছে তুলে ধরব। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন আমাদের দাবি অযুক্তিক তাহলে আমার আন্দোলনে আর যাব না।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফ ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক হারুন।
এসময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. হারুনের সভাপতিত্বে প্রায় অর্ধশত আন্দোলনকারী উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর