সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট-২০২৩ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আলোচনা সভা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় সাদ্দাম হোসেন হলের আয়োজনে হলটির টিভি কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন হলের আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর সুতাপ কুমার ঘোষ, সহকারী অধ্যাপক সোহেল রানা ও ফিরোজ আল মামুন। এছাড়া ইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু হুরায়রা, বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিবসহ হলের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাদ্দাম হোসেন হল ডিবেটিং সোসাইটির সম্পাদক দিদারুল ইসলাম রাসেলের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার আলোচনায় অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর জীবন এমন একটি পাঠ, এমন একটি আধ্যায়, আলোচনা সভার মাধ্যমে যেই অধ্যায়ের সমাপ্তিতে পৌছানো যায় না। বঙ্গবন্ধুর ২৪ বছরের আন্দোলনের জীবনের মধ্যে তিনি ১৪ বছর কারাগারে কাটালেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরই তিনি গ্রেফতার হন।
এর আগেই তিনি তার দেশের লোকদের এমনভাবে স্তরে স্তরে সাজিয়ে দিয়ে গেছেন, যার মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছেন। তিনি ছিলেন রাজনীতির কবি৷ কিন্তু ওই কুলাঙ্গারেরা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারা ভয়াবহ এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।'
প্রধান অতিথির আলোচনায় অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, 'স্বাধীনতার ঘোষক কে? একটি পক্ষ বলে জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় তিনি একজন মেজর ছিলেন। মেজর তো শুধু একজন না আরও অনেকেই ছিলো। তাহলে ওনার কি ক্ষমতা ছিলো যে উনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিবেন? এখন আমার পক্ষ থেকে যদি কোন শিক্ষক হলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয়, তারমানে তিনি এখানে আমার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
তেমনি জিয়াউর রহমানও বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবেই এই ঘোষণা দেন। তারা সব জানেন, বোঝেন। তারপরেও এটা নিয়ে চরম মিথ্যাচার করেন, অপরাজনীতি করেন। আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনাপ্রবাহ বিচার বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে জিয়াউর রহমান নেপথ্যে থেকেই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন।'
এর আগে বেলা ৩টায় অনুষ্ঠানের ১ম সেশনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘পারিবারিক দুরত্বই আত্মহত্যার প্রধান কারণ’।এতে সরকারি দল বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ী দলসহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সময় জার্নাল/এলআর