বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে ভাঙ্গন আতঙ্ক কাটছে না তিস্তা পাড়ের মানুষের

মঙ্গলবার, আগস্ট ২৯, ২০২৩
কুড়িগ্রামে ভাঙ্গন আতঙ্ক কাটছে না তিস্তা পাড়ের মানুষের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 

কুড়িগ্রামে আবারও বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার সহ সবকটি নদ-নদীর পনি। মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার তথ্য অনুযায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেযে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পনি বিপদসীমার মাত্র ২ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি বিপদসীমান ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানিও।

এতে করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ। এসব এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি না উঠলেও কাঁচা সড়ক তলিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতরাতে পানি বেড়ে রাস্তা তলিয়ে গেছে। আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে।
অন্যদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গন বেড়েছে তিস্তা পাড়ে। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বামতীরে অন্তত: ২০টি পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় চিন্তি হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এরই মধ্যে অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

রাজারহাটের খিতাবখা এলাকার ভাঙ্গন কবলিত মানুষেরা জানান, বছরের পর বছর ধরে তিস্তার ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন কাজ করছে না। চেয়ারম্যান, ইউএনও দেখে যায় কিন্তু কোন কাজ হয় না। শুধু বলে যায় কাজ হবে কাজ হবে। কিন্তু কিছুই হয় না। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তায় স্থায়ী ভাঙ্গনরোধে সরকারের পরিকল্পণা থাকায় বড় কোন প্রকল্প চলমান নেই। এ কারনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরপাঠ এলাকার আমিনুল জানান, বুড়িরহাটের স্পারের মাথা দেবে যাওয়ায় পাড়ের পাশ দিয়ে পানির তীব্র হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। স্পারের বাকী অংশ ঠেকানো না গেলে ভাঙ্গন তীব্র হয়ে গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীার ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় বন্যার পুর্বাভাস নেই।

সময় জার্নাল/এলআর 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল