ক্রীড়া প্রতিবেদক:
ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এমন ম্যাচের জন্য নিশ্চয়ই প্রতিটি দলের আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকার কথা। আছেও। একাদশ নিয়েও লুকোচুরি থাকার কথা। কারণ, একাদশ দেখে নতুন করে পরিকল্পনাও পরিবর্তন করে ফেলতে পারে প্রতিপক্ষ দল।
সে জায়গায় টসের আগ পর্যন্ত একাদশ জানানোর কথাই। কিন্তু এবার পাকিস্তান সাহসী পদক্ষেপই নিয়ে নিলো। ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগের দিনই পাকিস্তান জানিয়ে দিল তাদের একাদশ।
নেপালের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচের কম্বিনেশন ভাঙেনি পাকিস্তান। নেপাল তুলনামূলক কম শক্তির দল হলেও শক্তিশালী দল নিয়ে মাঠে নেমেছিলো পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষেও অকারণে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রাস্তায় হাঁটতে রাজি হল না পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের জন্য প্রথম ম্যাচের একাদশই ঘোষণা করলেন বাবর আজমরা।
নেপালকে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখেন বাবররা। আজ ভারতের বিপক্ষে সেই একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে বাবর আজম অ্যান্ড কোং।
নেপালের বিরুদ্ধে দুই পাক ওপেনার নিজেদের সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেননি। যদিও ওপেনারদের সে ব্যর্থতাটুকু বাদ দিলে ব্যাটে-বলে নিখুঁত ক্রিকেট উপহার দিয়েছিলো পাকিস্তান।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেন পাক দলনায়ক বাবর আজম। ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৩১ বলে ১৫১ রান করে আউট হন তিনি। ঝোড়ো শতরান করেন ইফতিকার আহমেদও। তিনি ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ বলে ৪৪ রানের যোগ করেন। পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৪২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেপাল ২৩.৪ ওভারে মাত্র ১০৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ২৩৮ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটের এশিয়া কাপের ইতিহাসে পাকিস্তানের এটি সব থেকে বড় ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড।
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম একাদশ
ফাখর জামান, ইমাম-উল হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), আঘা সালমান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ।
এমআই