শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিদ্যুৎ’র সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হাসান জাহিদ জয়ের নেতৃত্বে হাফিজুল ও আসাদুলসহ একদল দুষ্কৃতকারী। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সাংবাদিক সমাজে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের পুর্ব বিছনদই এলাকার হুলুটারী এলাকার শামসুলের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে ঐ এলাকার সামছুল ইসলাম ও তার ছেলে হাফিজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ’এর ট্রান্সফার মিটার লাগানোর জন্য স্থানীয়দের কাছে ৮০০/১০০০ টাকা করে চাদাঁ কালেকশন করে। এর পরে আবারও নতুন করে চাঁদা দাবি করলে স্থানীয়রা দিতে অস্বীকার করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ঐ এলাকার সামছুল ইসলাম ও তার ছেলে হাফিজুল ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম।
এতে করে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজুল ও আসাদুলের বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এই খবর পেয়ে লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ইউনুস আলী ও আনন্দ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগীর বক্তব্য ভিডিও ধারন করতে থাকে।
এসময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক হাসান জাহিদ জয়ের হুকুমে যুবদল নেতা হাফিজুল, আসাদুল, শামসুলসহ প্রায় ২০/ ২৫ দুষ্কৃতকারী সাংবাদিকের ক্যামেরা, মোবাইল ও ট্রাইপাট কেরে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। ওই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহিদ হাসান জয়ের নেতৃত্বে সকলে মিলে সাংবাদিক ইউনুস ও রহিমের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়, এতে আহত অবস্থায় দুই সাংবাদিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পরে এবিষয়ে সাংবাদিক ইউনুস আলী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাআলম জানান, উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। একটি অভিযোগও পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর