জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি :
৪র্থ শিল্প বিপ্লব এবং এসডিজি পূরণের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয় - শিল্প সহযোগিতায় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার ( ২ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রকোশৌলী বিভাগের আয়োজনে ওয়াজেদ মিয়া ভবনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ তাওহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ -উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম , সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল। উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির, ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক ডা:মো আকিব হোসেন,সিনিয়র সচিব ইউসুফ হারুন।
সেমিনারে উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভালো সিজিপিএ নিয়ে বাহির হয়ে যায়,কিন্তু তাদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছে না। উন্নয়নের চ্যালেন্জগুলো মোকাবেলার সুযোগ করে না দেওয়ার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে চলে যায়। বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা, দারিদ্র, শোষনহীন সমাজ চেয়েছে যা যুগের সাথে পরিবর্তন হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।সেই জন্য শিক্ষক, ছাত্র, সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করতে হবে,সেই বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে।
শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েের অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম আছে। পিএইচডি করে তারা বাহির হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন কাজে তারা আসছে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের গবেষণা করে সে অনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম করতে হবে। আমাদের দেশে রিসার্চের কালচার তৈরী করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে রাখতে হবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা চ্যালেন্জে অংশগ্রহণ করতে চাই, বাংলাদেশে সেই সুযোগ না থাকার কারণে তারা বিদেশে চলে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের প্রতিষ্ঠানে রিসার্চের সুযোগ করে দেওয়া।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
সেমিনারে ডা:মো আকিব হোসেন বলেন,৯৮% ওষুধ আমরা উৎপাদন করছি,২% আমদানি করছি,এটা আমাদের প্রকোশৌল শিল্পের জন্য সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাদের গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পের প্রসারতা বাড়াতে পারে।
ওষুধ শিল্পের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক অনেকটা কম,আমাদের সম্পর্কটা বাড়াতে হবে। গজারিয়ায় ওষুধ শিল্প পার্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গিয়ে থিসিস করে,ওষুধ শিল্পের প্রসারতা বাড়ানোর জন্য কাজ করবে।
উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করতেছি,তা প্রয়োগ করতে পারছি না।
ওয়ার্কশিপ রাখার পরও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্বে যে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে,তাদের সাথে আমাদের তাল মিলিয়ে যেতে হবে। সেই জন্য আমাদের উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা আবার এগিয়ে যাব।
প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ফারহানা বিনতে সুফির সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং প্রায় দেড় -শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর