সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক: পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জনগণের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল কী ভাবছে তা বলা যাচ্ছে না।এদিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে মার্কিন ব্যুরো অব পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স এর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিকের সাথে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তারা জ্বালানি নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তাসহ সব ধরনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।তিনি আরো বলেন, মার্কিন পক্ষ তার কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের ভুলবোঝাবুঝি না হয় তাই এ ধরনের আলোচনা আরো বেশি হওয়া উচিৎ বলে জানিয়েছে।র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে মাসুদ মোমেন বলেন, মার্কিন পক্ষ কিছু আলোচনা করেছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশ মানবাধিকার সংক্রান্ত সব অভিযোগ গুরুত্বের সাথে নেয় এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেগুলোর সমাধান করে। ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও এই অঞ্চলে কোনো নির্দিষ্ট দেশের আধিপত্য চায় না। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল অবাধ, মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।এর আগে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে ‘ব্যাপক নিরাপত্তা সম্পর্কের’ অংশ হিসেবে ঢাকায় নবম বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এবং মার্কিন পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন মিরা রেজনিক। নিরাপত্তা সংলাপ হলো দুই দেশের বেসামরিক নেতৃবৃন্দের মধ্যকার একটি বার্ষিক আলোচনা। যেখানে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাদে বাকি সব ধরনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা হয়।উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।মার্কিন পক্ষ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পরস্পর সংশ্লিষ্ট অনেক স্বার্থ রয়েছে।চলতি বছরের ২৩-২৪ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপকে ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করে এই নিরাপত্তা সংলাপটি হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপে মার্কিন ও বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর সিনিয়র অফিসার ও বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।তারা সামরিক শিক্ষা, শান্তিরক্ষা এবং আসন্ন সামরিক মহড়াসহ উভয় সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে আগামী বছরের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া অনুশীলন ও বিনিময়।নিরাপত্তা সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমস্যা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলাসহ দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। সূত্র : ইউএনবি সময় জার্নাল/এস.এম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল