বুধবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
স্পোর্টস ডেস্ক:
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের খেলা শুরু হয়েছে আজ। প্রথম দিনেই পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যান ইন গ্রিনদের বিপক্ষে টসে জিতে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন মেহেদী মিরাজ, এরপর ধস নামে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানি পেসারদের বোলিং তোপে চার টপ অর্ডার হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখান সাকিব-মুশফিক জুটি। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের শতরানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর আভাস দেয়। তবে এ দুজনের বিদায়ের পর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগাররা। পাকিস্তান পেসারদের বোলিং তোপে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তান ম্যাচের মত আজও বাংলাদেশের হয়ে নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন মিরাজ। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন শাহিন আফ্রিদি। ম্যান ইন গ্রিনদের এই গতিদানবের বল ভালোই সামলেছেন নাঈম। সে ওভারে অবশ্য কোনো রান আসেনি টাইগারদের স্কোরবোর্ডে।
তবে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাঁধে বিপত্তি। নাসিম শাহর করা বল ব্লক করতে গিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু তা ক্যাচ হয়ে চলে যায় ফখর জামানের হাতে। ফলে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় আগের ম্যাচের এ সেঞ্চুরিয়ানকে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিজে নেমে দারুণ শুরু করেন লিটন দাস। নাসিম শাহ ও আফ্রিদির বল দেখেশুনে খেলতে থাকেন তিনি। এই দুই বোলারকে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান এলকেডি। পাওয়ার প্লেতে বড় রানের ভীত যখন গড়ছিল টাইগাররা ঠিক তখনই ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩১ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ দিয়ে বসেন লিটন। ১৩ বলে ১৬ রান করে মিরাজের দেখানো পথে হাঁটেন তিনি।
এরপর শুরুতেই দুই উইকেট হারানো দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন সাকিব, ক্রিজে সঙ্গী ছিলেন ওপেনার নাঈম। কিন্তু এ জুটি বড় হয়নি। হারিস রউফের বলে তারই হাতে ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৫ বল খেলে ৪ চারে ২০ রান করেছেন তিনি। এদিকে নাঈমের বিদায়ের পর মাঠে নামেন তাওহীদ হৃদয়। টুর্নামেন্টের আগের দুই ম্যাচে হাসেনি তার ব্যাট। একই পরিণতি হয়েছে আজও।
দশম ওভারে হারিসের প্রথম বলেই বোল্ড হন তিনি, ৯ বল খেলে করেছেন ২ রান। ফলে মাত্র ৪৭ রানেই চার টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দল সাকিব-মুশফিকের জুটিতে চাপ কিছুটা সামলে ওঠেছে। এ দুজন মিলে টাইগারদের প্রাথমিক চাপ সামাল দেন।
দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার পঞ্চম উইকেট জুটিতে গড়েন ১০০ রান। দলীয় স্কোর ৪৭ রানে ৪ উইকেট থেকে ১৪৭ রানে নিয়ে যান সাকিব-মুশফিক জুটি। তবে ইনিংসের ৩০তম ওভারে নিজের অর্ধশতক পূরণের পর ফাহিম আশরাফের গতিতে পরাস্ত হন টাইগার অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ৫৩ রান করে মিড উইকেটে ফখর জামানের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব।
সাকিব সাজঘরে ফেরার পর মাঠে নামেন শামীম হোসেন। টাইগারদের এগিয়ে নিতে এ দুজন মিলে দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে ভালো কিছুর আভাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত হতাশ করেছেন শামীম। মুশফিকের সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ার পর ইফতিখার আহমেদের বলে ইমাম উল হকের হাতে ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
এরপর আর মুশফিকও যেতে পারেননি বেশিদূর। আফিফ হোসেনের সঙ্গে জুটিতে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৬ রান যোগ করতেই হারিসের চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৭ বলে ৬৪ রানের এক দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে ৪টি উইকেট নেন হারিস রউফ ও ৩টি উইকেট নেন নাসিম শাহ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
এমআই