স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় মিলছিল না গোল। এমনকি বাধা হয়ে দাঁড়ায় বারপোস্টও। প্রায় শেষ দিকে এসে দলকে আরও একবার উদ্ধার করলেন সেই লিওনেল মেসি। জাদুকরী এক ফ্রিকিক থেকে এনে দিলেন কাঙ্ক্ষিত গোল। তাতে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু করেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
স্তাদিও মাস মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচের ৭১ শতাংশ সময়ে বল দখলে রাখে আর্জেন্টিনা। এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে কতটা প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে তারা। গোলমুখে তাদের নেওয়া ১৩টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি। বিপরীতে, ইকুয়েডর পাঁচটি শট নিয়ে লক্ষ্য রাখে তিনটি। তবে কোনোটিই ভীতি জাগানো ছিল না।
এই জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই অভিযান শুরু করল আলবিসেলেস্তেরা। অন্যদিকে ইকুয়েডরের পয়েন্ট মাইনাস তিন। কারণ গত বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এক ফুটবলারের জন্মসনদ জালিয়াতির অভিযোগে তাদের শাস্তি দেয় ফিফা। কলম্বিয়ায় জন্ম নেওয়া ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার বায়রন কাস্তিলোর সব কাগজপত্র ঠিকঠাক না দেওয়ায় এবার বাছাই পর্ব শুরুর আগে এই শাস্তি পায় তারা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৬তম মিনিটে গোল করার মতো প্রথম সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। আলেক্সিস ম্যাক আলিস্তারের কাটব্যাক থেকে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১২ মিনিট পর নিকোলাস গঞ্জালেজের কাটব্যাক থেকে গোলমুখে লাউতারো মার্তিনেজের শট ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডার ব্লক না করলে এগিয়ে যেতে পারতো তারা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভাগ্য সঙ্গে থাকলে গোলের দেখা পেতে পারতো আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো দি পলের বাড়ানো বলে স্লাইড করে আলতো করে দিক বদলে দিয়েছিলেন লাউতারো। কিন্তু তার প্রচেষ্টা বারপোস্টে লেগে বেরিয়ে গেলে হতাশা নিয়ে বিরতিতে যায় তারা।
৫৫তম মিনিটে তো বড় বাঁচা বেঁচে যায় সফরকারীরা। কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিলেন মেসিরা। ম্যাক আলিস্তার ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর শট ব্লক করলে কোনোমতে রক্ষা পায় ইকুয়েডর। এর তিন মিনিট পর আরও একবার বারপোস্ট বাধা হয় আর্জেন্টাইনদের। নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়।
৬৭তম মিনিটে বলার মতো প্রথম লক্ষ্যে শট রাখে ইকুয়েডরের এনের ভ্যালেন্সিয়া। তবে তা সহজেই লুফে নেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ৭৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। জাদুকরী এক ফ্রিকিকে বল জালে পাঠান মেসি। জাতীয় দলের জার্সিতে ১৭৬ ম্যাচ খেলে ১০৪টি গোল করলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এরপরও গোল করার মতো বেশ কিছু সুযোগ ছিল আর্জেন্টিনার। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বদলি খেলোয়াড় আনহেল দি মারিয়ার বাড়ানো বলে ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া দি পলের শট ইকুয়েডরের গোলরক্ষক হার্নান গালিন্দেজ কোনোমতে পা দিয়ে না ঠেকালে ব্যবধান বাড়তে পারতো। তবে এর আগে ৮৯তম মিনিটে মেসিকে উঠিয়ে নেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি।
এমআই