রাকিবুল ইসলাম:
সারি সারি বইয়ের তাক, সাজানো হাজারো বই। একটি লাইব্রেরির রুপ এখানেই শেষ নয়। লাইব্রেরি শুধুমাত্র বই পড়ার জায়গা হবে তাও নয়। এখানে থাকবে ঐশ্বরিক স্পর্শ, যা পাঠকের মনে শুভ্রতা তৈরি করবে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে এমন অনেক লাইব্রেরি আছে যার রুপে রয়েছে স্বর্গীয় ছোঁয়া। এর সাথে আবার যদি যুক্ত হয় প্রকৃতির সৌন্দর্যের ঘেরা অনিন্দ্য পরিবেশ তাহলে এই লাইব্রেরিকে রূপ দেওয়া যায় সোনায় সোহাগা। ঠিক এমনই একটি লাইব্রেরির রয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে (ডিআইইউ)। যার ভিতরের অপরূপ সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
পুরাতন ভবনে অবস্থিত লাইব্রেরীটির ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন ফুল এবং শোভাবর্ধনকারী ফুলের গাছ। যা লাইব্রেরির পরিবেশকে এক অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির আশেপাশে সবুজে ঘেরা পরিবেশ সকলকে মুহূর্তের মধ্যে বিমোহিত করবে। এর সবুজ পরিবেশ সবাইকে যেমন মুগ্ধ করবে ঠিক তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতেও অধির আগ্রহ বাড়াবে। সবুজ শ্যামলে আবৃত এই গ্রন্থাগারের অন্যতম প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য যা একজন শিক্ষার্থীকে সহজে মোহে আচ্ছন্ন করে রাখবে। যার ফলে একাগ্রচিত্যে প্রকৃতির স্পর্শে নিরব ও নিভূত্বে গ্রন্থাগারে বসে অধীর মনোযোগের সাথে লেখাপড়া করতে পারবে।
এবিষয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী শান্তা ইসলাম জানান, লাইব্রেরীতে গাছ থাকায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে বিভিন্ন গাছ থাকায় যেমন শোভা বর্ধন করছে ঠিক তেমনি এটি পরিবেশের জন্যেও উপকারী।
ওই বিভাগের আরও একজন শিক্ষার্থী শ্রাবণী রহমান জানান, লাইব্রেরীতে গাছ থাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে গাছ থাকা এটি অনেকটা অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায় না। এই পদক্ষেপটি যুগোপযোগী।
এমআই