ফাহিম হোসেন, ঢাবি প্রতিনিধি :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বাংলার মুসলমানদের পক্ষে নাথান কমিশনেও অন্যতম সদস্য ছিলেন আহ্ছানউল্লা কিন্তু অনেক মানুষ এখনও তার সম্পর্কে জানে না। তার অবদান নিয়ে খুব বেশি চর্চা হয় না।
শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ' আহছানউল্লার শিক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও আধ্যাত্মিক চিন্তা' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুফিজমের যে মৌলিক চিন্তা 'সকল মানুষকে ভালোবাসা' খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লার জীবনের প্রথম থেকেই তা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তার কাজ ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক। অসহায়, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য তিনি কাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে আজকে যে ফলাফল নির্ভর শিক্ষার কথা বলা হয় সেটি তিনি খুব শুরুতেই অনুধাবন করেছেন৷ মাদ্রাসা শিক্ষা পদ্ধতি নিয়েও তার দর্শন আছে। তিনি অনুধাবন করেছিলেন মানুষের অনেক বিদ্যা থাকতে পারে তবে তা মানুষের কাজে না লাগলে নিরর্থক হয়ে যায়।
সভাপতির বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা যা শিখেছেন জীবনে তা পালন করেছেন। বিদ্যার সাথে বিনয় ও শিক্ষার সাথে দীক্ষাকে যদি একত্র করা না যায় তাহলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। মহান মানুষদের সংস্পর্শে আসতে পারলে তবেই আমাদের জীবনে সফলতা আসবে। খান আহ্ছানউল্লা মহান মানুষ ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা বিস্তার ও রুহানিয়াত ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং খান বাহাদুর আহসান উল্লা ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক এ এফ এম রুহুল হক, ঢাবি দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ কাওসার মুস্তফা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিত দে, ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনসহ প্রমুখ।
এমআই