জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে উত্তাল ঠাকুরগাঁও শহর। মঙ্গলবার বিকালে শহর চৌরাস্তায় ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন সাংবাদিক ও নাগরিকের ব্যানারে ডাকা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে এমন উত্তাল মূহুর্ত দেখা গেছে।
উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, সাপ্তাহিক সংগ্রামী বাংলার সম্পাদক মো: আব্দুল লতিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক শাহীন ফেরদৌস, প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি জাকির মোস্তাফিজ মিলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আমিন সরকার,ক্রান্তিকাল ডট কমের সম্পাদক মাহাবুব আলম রুবেল, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্টের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, কামরুল ইসলাম রুবায়েত, ফজলে ইমাম বুলবুল, সাংবাদিক নুর আফতাবুল আলম রুপম, সোহেল রানা, জেলা উদীচীর সহ সভাপতি এমএস আহমেদ রাজু, সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এই করোনাকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয়ের নানা ধরণের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবেদন তুলে ধরে ধারাবাহিক ভাবে জনগণকে সংবাদ পরিবেশন করে সচেতন করেছেন প্রথম আলোর প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। সেই ধারিবাহিকতায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য সংগ্রহকরতে যান তিনি। সে সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চুরি ও দুর্নীতির নানা তথ্য এই প্রতিবেদকের কাছে ধরা পড়লে তাকে ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে তাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি গ্রস্থ কর্মকর্তারা। পরে নিজেদের দুর্নীতির খবর ধামাচাপা দিতে তাকে তথ্য চুরির দায়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়। বক্তারা বলেন, যেখানে তথ্য পাওয়া অধিকার সেখানে তথ্যচুরির দায়ে মিথ্যা মামলা দেয়া মানে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্থ করা ও দুর্নীতিবাজদেরকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেয়ার সমান।
বক্তারা আরও বলেন, করোনাকালে সংবাদমাধ্যমে অবাধ স্বাধীনতার কথা বলা হচ্ছে সেখানে কন্ঠরোধ করার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সহ গণবিরোধী আইন সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের উপর প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে। এ সময় বক্তারা বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন বন্ধ ও হেনস্তার প্রতিবাদ জানান, সেই সাথে রোজিনা সহ সকল সাংবাদিকের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁদের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান এবং সাগর রুনির হত্যা পেছনে কাদের কাদের কালোহাত রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
সময় জার্নাল/ইএইচ