মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনের দূর্ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রথমটি চট্টগ্রাম বটতলী রেলস্টেশন থেকে আসার সময় চৌধুরীহাট এলাকায় গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি। দ্বিতীয়টি উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব ও পরিবহন দপ্তর ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির আহবায়ক: যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ। সদস্য: ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল। সদস্য সচিব প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দর রাজ্জাক।
ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ। সদস্য: জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম এবং সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয়।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ বলেন, দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শাটল ট্রেনের ছাঁদে করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ফেরার সময় ঝুলে থাকা গাছের ডালপালার ধাক্কায় অন্তত ১৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কয়েকজন ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে গেছেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, নিরাপত্তা দপ্তর, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দের বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শনিবার দুটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মামলায় সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
পরদিন শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন চবি উপাচার্য। সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, গতকালের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় তিনটি অজ্ঞাত মামলা করা হয়েছে। আরও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। শিগ্রই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এরই মধ্যে মামলায় অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেছে প্রশাসন। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনই চবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের সদস্য।
এমআই