ফাহিম হোসেন, ঢাবি প্রতিনিধি:
সাধারণত অর্থনৈতিক দীনতা, পড়াশোনার ব্যর্থতা, দাম্পত্য কলহ, সম্পর্কের জটিলতা, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ঘাটতি প্রভৃতি কারণে আত্মহত্যা বাড়ছে। তবে এসব সমস্যা নিয়েও অনেকে টিকে থাকেন।
মানসিক শক্তি ও ব্যক্তিত্ব এটি তৈরি করে দেয়। তাই আত্মহত্যারোধে ব্যক্তিত্বের সুষ্ঠু বিকাশ ঘটানো জরুরি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরী করি: আত্মহনন থেকে দূরে থাকি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং ছাত্র-নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার রুমে এ সেমিনার আয়োজিত হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে আত্মহত্যার চেষ্টাকে ধর্মীয় এবং আইনীভাবে অপরাধ হিসেবে ধরা হয়েছে। ফলে অনেকেই এ সব বিষয় অন্যের সাথে বলতে চায় না। কাউকে খোলাখুলি বলতে না পারায় মানসিক অবসাদ আরও বেড়ে যায় এবং মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, মানুষের ভেতর থেকে তৈরী হওয়া শক্তি দিয়ে এ সমস্যার উৎপত্তিকে নির্মূল করা সম্ভব হবে। তাই আত্মহত্যার সমস্যার সমাধান হিসেবে ব্যক্তিত্বের সুষ্ঠু বিকাশ ঘটানো জরুরি। এ ছাড়াও সামাজিক বন্ধন দৃঢ়করণ, নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আত্মহত্যার হার কমানো যেতে পারে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, মানুষকে কাজের মধ্যে রাখা গেলে বিষণ্ণতা অনেক বেশি দূর হয়ে যায়। আমরা যখন সংগীত শুনি, নৃত্য দেখি তখন আমাদের মধ্যে একটি তাল তৈরি হয়।
এসব বিষয়ে সংযুক্তির মাধ্যমেই মানুষ কর্মশক্তি ফিরে পায়; একাকীত্বের মধ্য দিয়ে নয়। আমরা যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের কথা বলি তা গঠন করতে হলে সকলকে সংযুক্ত করতে হবে। তাহলে এ সব সমস্যা কমে আসবে।
সেমিনারে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী সভাপ্রধান ছিলেন। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দপ্তরের পরিচালক এ কিউ এম শফিউল আজম, অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, যুগ্মমহাসচিব সুভাষ চন্দ্র সিংহ রায়সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর