ইবি প্রতিনিধি : ১৬তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন অনুষদের সাতজন শিক্ষার্থী। সারাদেশের মোট ১০৪ জন এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের সাক্ষরিত উত্তীর্ণ ও মনোনীতদের তালিকা সম্বলিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইবির সাত শিক্ষার্থী হলেন- আইন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইভা ফারজানা, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সেলিনা শেলী, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ফাতেমা জান্নাত, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের রুবাইয়া ইয়াসমিন, মারিয়া সুলতানা, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরিফ হোসেন, এবং ল'এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নুর।
এদের মধ্যে মেধাতালিকায় ৪০ তম স্থানে রয়েছেন ল'এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আসাদুজ্জামান নুর। তার সাফল্যের পেছনে পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও বিভাগের শিক্ষকদের অবদানই সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমি আমার সকল পরিচিত এবং অপরিচিত মানুষগুলোর প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। কারণ আমার ছোট বেলা থেকেই শত মানুষ আমার উপকার করেছে বলেই এতোটা পথ অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। আমার এই বিজেএস জার্নিতে আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বিভাগের শিক্ষকেরা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। কর্মজীবনে চেষ্টা করব আইনের বাস্তবায়ন করতে। জনগণের ন্যায়বিচার এবং রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে যাবো। বিচারপ্রার্থী মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন সেটা বিবেচনায় থাকবে।'
তিনি আরও বলেন, 'সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ থাকবো আমার মায়ের কাছে, সেই ছোট থেকেই আমার প্রতিটা সিদ্ধান্তে তিনি সব সময়ই আমার পাশে ছিলেন, সাহস জুগিয়েছেন ৷ আমার আজকে যা অর্জন তার পুরোটাই আমার মায়ের অর্জন বলে আমি মনে করি ৷ অনেক বছর অপেক্ষায় ছিলাম মাকে একটা সুসংবাদ জানাবো, মায়ের হাসিমাখা মুখটা দেখবো ৷ অনেকদিন মাকে হাসিমুখে দেখি নি ৷ আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন।'
ল'অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সাহিদা আক্তার বলেন, আইন অনুষদের সফলতায় আমি গৌরব বোধ করছি। এই অনুষদের নতুন একটি বিভাগ যেখানে একটি ব্যাচ মাত্র অনার্স সম্পন্ন করেছে। ওই ব্যাচের একজন ছাত্রও সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। এতে অন্য শিক্ষার্থীরা অনুপ্রেরণা পাবে। আশা করি ভবিষ্যতেও সফলতার এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এসজে/আরইউ