বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের আয়োজনে আজ ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস পালিত হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিলো- ‘ PHARMACY STRENGTHENING HEALTH SYSTEMS ’।
সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি ড.মোহাম্মদ আলি খান কেক কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে একাডেমিক ভবনের ২০৫ নম্বর রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি ড.মোহাম্মদ আলি খান সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় তিনি বলেন "আমরা স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। এই সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা ফার্মাসিস্টরা কোয়ালিটি সম্পন্ন ওষুধ তৈরি করছি।এটা অনেকে জানে না।ফার্মেসী একটি বিভাগ এখান থেকে যারা গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট বের হয়,এর বেশির ভাগই ওষুধ তৈরির সাথে জড়িত। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ প্রায় ৯৬% ওষুধ এ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের বাইরে থেকে ওষুধ আমাদানি করা লাগে না।আমরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে,বাইরে ওষুধ রপ্তানি করে প্রচুর বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করছি,যা আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের পরেই অবস্থান।আমাদের দেশে এই বড় একটা অর্জনের পিছনে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের অবদান সেটা অনেকে জানে না।এটা জানানোর জন্যই ফার্মাসিস্ট দিবস পালন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহোযোগী অধ্যাপক ড.রেজিনা রউফ,আবুল বাশার রিপন খলিফা ,সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ১৯১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভায় ২৫ সেপ্টেম্বরকে ফার্মাসিস্ট দিবস হিসেবে প্রস্তাব করা হয় ।
২০০৯ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের কাউন্সিল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তুরকিশ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ২৫ সেপ্টেম্বরকে ফার্মাসিস্ট দিবস পালনের জন্য প্রস্তাব করে। এই প্রস্তাব কাউন্সিল কতৃক সর্বসম্মতি ক্রমে গৃহীত হওয়ার পর ফার্মেসি পেশায় কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান এবং এই পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এমআই