বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া অনুষদটির পাঁচশত নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান।
এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি এ এইচ এম নাহিদ, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. আবু শিবলী ফতেহ আলী চৌধুরী, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের সভাপতি শ্যাম সুন্দর সরকার এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমানসহ অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইজাজ মাহমুদ অনিক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন অতিথিরা।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, 'সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশ ও বিদেশেও এই অনুষদের গুরুত্ব অনেক। অনুষদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক স্থাপন ও সবাই যেন একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।'
নবীন শিক্ষার্থীদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ার জন্য তোমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যে উদ্দেশ্য, সেটি নির্ধারণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালায়ে পড়তে আসার উদ্দেশ্য হলো সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সুনাগরিক হওয়া। প্রতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জন ও সিজিপিএ অর্জনের পাশাপাশি তোমাদের প্রকৃত মানুষ হতে হবে।’ পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন এবং কো-কারিকুলার এক্টিভিটিসের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজের দক্ষতা ও কানেক্টিভিটি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
পরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর