সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ার জামগড়ায় একটি বহুতল ভবন থেকে ছেলেসহ পোশাকশ্রমিক এক দম্পতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে জামগড়া ফকির বাড়ির মোড় এলাকার ওই ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের গোয়েন্দা দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মুক্তার হোসেন বাবুল, তার স্ত্রী শাহিদা বেগম ও তাদের ১২ বছর বয়সী ছেলে মেহেদী হাসান জয়। বাবুল ও শাহিদা আশুলিয়ায় পৃথক পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসায় আশপাশের বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। পরে দরজায় ধাক্কা দিলে তারা দেখতে পান ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এ সময় ঘরের বিছানার ওপর মা ও ছেলের রক্তমাখা মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে বাড়ির মালিক ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
ওই ভবনের বাসিন্দা দিলদার হোসেন বলেন, আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। সন্ধ্যায় বাসায় এসে দেখি সামনে প্রচণ্ড ভিড়। পরে শুনতে পাই চারতলায় একটি ফ্ল্যাটে নাকি তিনজনকে খুন করে রেখে গেছে কেউ। পরে পুলিশ আসে। তারা (হত্যাকাণ্ডের শিকার তিনজন) ঘর থেকে তেমন বের হন না। স্বামী-স্ত্রী চাকরি করেন। রাতে আসেন, আবার সকালে চলে যান।
নিহত বাবুলের দুলাভাই রহিম মুঠোফোনে বলেন, আমি ঠাকুরগাঁওয়ে থাকি। অনেকেই ফোন করে খবর নিচ্ছে। কিন্তু আমি তো কিছুই জানি না। বাবুল ৭ থেকে ৮ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
এসআই জোহাব আলী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে বিছানার ওপর মা ও ছেলের লাশ দেখতে পেয়েছি। পরে পাশের ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাবুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকেও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করছি, আনুমানিক তিন দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তদন্তে শেষে ও আসামি গ্রেপ্তার হলে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসজে/আরইউ