নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পরিচিত নাম রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ের মতো জায়গায় আটকে রেখে নির্যাতন এবং পরবর্তীতে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৩৪ জন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান তারা।
আলোকচিত্রীরা বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে প্রায় ছয় ঘণ্টা যে হেনস্তার ঘটনা ঘটে তা নজিরবিহীন। এ ধরনের ঘটনাকে আলোকচিত্রীরা স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা চর্চার পথে বাধা ও হুমকিস্বরূপ বলে মনে করেন।
তারা বলেন, সচিবালয়ে হেনস্তার পর নাটকীয়ভাবে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে ‘তথ্য চুরি’র মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলোকচিত্রীরা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, স্বপন সাহা, শহিদুল আলম, আবদুল মালেক বাবুল, ফরিদ আক্তার পরাগ, মো. মইন উদ্দীন, সফিকুল আলম, সফিকুল আলম কিরণ, মুনিরা মোরশেদ মুন্নী, ইমতিয়াজ আলম বেগ, আবীর আবদুল্লাহ, পল ডেভিড বারিকদার, জিএমবি আকাশ, মনিরুল আলম, মীর শামছুল আলম বাবু, সৈয়দ লতিফ হোসেন, সাহাদাত পারভেজ, দীন মোহাম্মদ শিবলী, তাসলিমা আখতার, বশীর আহমেদ সুজন, স্নিগ্ধা জামান, কাকলী প্রধান, সাইফুল হক অমি, জান্নাতুল মাওয়া, আল ইমরান গর্জন, তানভীর মুরাদ তপু, আমীরুল রাজীভ, তানজিম ওয়াহাব, মুনিরুজ্জামান, কে এম আসাদ, এ কে এমদাদুল ইসলাম বিটু, রাসেল চৌধুরী, সালমা আবেদীন পৃথি ও আহমেদ শফিউদ্দীন।
স্বাক্ষরকারী আলোকচিত্রীরা বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে লক্ষ্য করছি, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছিলেন। তার রিপোর্ট দেখে বোঝা যায়, তিনি গণমানুষের কল্যাণে সাংবাদিকতা পেশায় ব্রত। রোজিনা ইসলাম সাহসী, আপসহীন সাংবাদিকতার প্রতীক। জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতে কর্মরত রোজিনা ইসলামকে কাজে বাধা প্রদানের জন্য এই ধরনের নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের ঘটনা হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
রোজিনা ইসলামের ওপর নির্যাতন এই নিন্দনীয় ঘটনা একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে শুধু বিব্রতই করে না, নানা প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, সেই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যথাথথ ব্যবস্থা নেয়া এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন আলোকচিত্রীরা।
সময় জার্নাল/এমআই