সাইদুল ইসলাম সাঈদ:
রাজধানীর উত্তরায় তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে আলোকিত নারী কল্যান ফাউন্ডেশন। বুধবার(৪ অক্টোবর) মেলার শুভ উদ্বোধন হয়, আজ শুক্রবার রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেলায় অংশ নিয়েছেন অনেক নারী উদ্যোক্তা।
মেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সময় জার্নালকে জানান, মেলায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা নুসরাত,'সারা বছরই দেশজুড়ে নানা রকম মেলা হয়। তবে শুধু নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে মেলার আয়োজন খুব একটা দেখা যায় না। 'আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন' তেমনই একটি মেলা আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।' তিন দিনব্যাপী এ মেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। মানুষের উৎসাহ দেখেই বোঝা যায় মেলাটি শতভাগ সফল।
মেলা উদ্বোধন করেন আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, শারমিন সালিম তুলি। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা মেলা দেশের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বাড়াবে এবং দেশীয় পোশাক ক্রয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে।’
তিনি আরো বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তোমরা চাকুরী করবে না' চাকুরী দিবে।সুতরাং ওই কথা স্বরণ করেই আমরা প্রচুর- পরিমাণে উদ্যোক্তা তৈরি করছি।
প্রায় ৩০ জন নারী উদ্যোক্তা মেলায় অংশগ্রহণ করেন। বেশিরভাগ উদ্যোক্তা নানা ধরনের দেশীয় পোশাক প্রদর্শন করেন। এর পাশাপাশি ছিল গহনা, পাটজাত পণ্য, তৈজসপত্র, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প ও গৃহস্থলী পণ্য।
মেলার প্রথমদিন ছিল বুধবার(৪ অক্টোবর)। সেদিন লোক সমাগম খুব একটা না হলেও দ্বিতীয় দিন মেলা জমে ওঠে। কিশোরী থেকে তরুণী, মধ্যবয়স্ক নারী থেকে বৃদ্ধা মহিলারাও মেলায় আসেন। ওদিকে মা-বাবার হাত ধরে মেলায় আসে শিশুরাও।
আমার স্টলে দেশীয় ব্লক-বাটিকের পোশাকের পাশাপাশি গয়না ও চামড়াজাত ব্যাগ প্রদর্শন করেছি। ক্রেতারা উৎসাহ নিয়ে সেসব দেখেছেন। অনেকেই পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করেছেন। আমাদের পোশাকের মান ভালো হলে অনেকেই পরবর্তীতে আমাদের থেকে আরও পোশাক সংগ্রহ করবেন বলে জানান। এর মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, বলছিলেন, রোকেয়া বানু নামের এক নারী উদ্যোক্তা। একই ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রেও।
আমাদের দেশের নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছেন। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকার যদি নারী উদ্যোক্তাদের দিকে বাড়তি দৃষ্টি দেয়, তাহলে এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে পোশাক খাতে যেসব নারী উদ্যোক্তা কাজ করছেন, তাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ ধরনের মেলা তাদের তৈরি পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি ও প্রচারে সাহায্য করবে।
বর্তমান সময়ে নারী উদ্যোক্তারা তথ্যপ্রযুক্তি, বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভালো উপকরণ ও নিজস্ব সৃজনশীলতা দিয়ে পোশাকের ডিজাইন ও মানসম্মত পোশাক তৈরি করছেন। এসব পোশাক বাজারজাত করার জন্য মেলা একটি দারুণ উদ্যোগ। দেশব্যাপী এ ধরনের মেলার আয়োজন বাড়ালে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
সময় জার্নাল/এলআর