মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জয় দিয়ে বিশ্বকাপে সূচনা পাকিস্তানের

শনিবার, অক্টোবর ৭, ২০২৩
জয় দিয়ে বিশ্বকাপে সূচনা পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক : চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মাটিতে আয়োজিত ক্রিকেটের মহারণ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই ভারতের মাটিতে পা রেখেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বৈশ্বিক আসরে তুলনামূলক নবাগত নেদারল্যান্ডস ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের মনে। তবে পাক পেস অ্যাটাকের সাথে পারলেন না ডি লিড-কলিন অকারম্যানরা। অঘটনের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮১ রানে হারল নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ৪১ ওভারে ২০৫ রানেই অলআউট হয় ১২ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা নেদারল্যান্ডস।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-নেদারল্যান্ডস। র‌্যাঙ্কিংয়ের ২ ও ১৪ এর লড়াইয়ে টস জিতেন এবারের আসরের একমাত্র নন টেস্ট খেলুড়ে দেশ নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। টস জিতে তিনি বাবর আজমদের ব্যাটিংয়ে পাঠালে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ শাকিলের জোড়া ফিফটিতে জয়ের জন্য ডাচদের ২৮৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান। জবাবে লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও ২০৫ রানে থামে ডাচদের ইনিংস। ৮১ রানের জয়ে আসরে ভালো শুরু হলো বাবর আজমের দলের।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। ডাচ বোলারদের আঘাতে ৩৮ রানের মধ্যেই ফিরে যান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ১২ রানে ফিরে যান পাক ওপেনার ফখর জামান। মাত্র ৫ রান করা বাবরকে আউট করেন স্পিনার কলিন অ্যাকারম্যান। ৪ রানের ব্যবধানে আরেক ওপেনার ইমামও ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১২০ রান যোগ করেন শাকিল-রিজওয়ান। মাত্র ৩২ বলে ফিফটি পূরণ করে ৬৮ রানে আউট হন শাকিল। ক্যারিয়ারের ১৩তম অর্ধশতক পূরণ করে শাকিলের সমান ৬৮ রানে বোল্ড হন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ১৫৮ থেকে ১৮৮ রানের আরও তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। সপ্তম জুটিতে ৬৪ রানের জুটি গড়েন শাদাব ও নওয়াজ। ৩২ রানে বাস ডি লিডের বলে আউট হন পাক অলরাউন্ডার। ৩৯ করে রান আউট হন নওয়াজ। ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট শিকার করেন বাস ডি লিড।

জবাবে ভিক্রমজিৎ সিংয়ের ব্যাটে ভর করে দারুণ শুরু পায় নেদারল্যান্ডস। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ ৫ রান করে ফিরে গেলেও সিং হাঁটতে থাকেন হাফসেঞ্চুরির পথে। ম্যাক্স ও’দাউদের পর দলীয় ৫০ রানে ফেরত যান কলিন আকারম্যান। ইফতিখার আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এরপর ক্রিজে আসেন আজকের ম্যাচে পাকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি ভোগানো বাস ডি লিড। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও পাকিস্তানের ভয়ের কারণ হতে থাকেন তিনি। ভিক্রমজিৎের সাথে ৭০ রানের জুটি ডাচদের ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনের স্বপ্ন দেখাতে থাকে। এরমধ্যে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন ভিক্রমজিৎ। তবে অর্ধশতকের পরেই বিদায় নেন এই ওপেনার। শাদাবের বলে ফখর জামানের হাতে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন তিনি। তখনও লড়ছিলেন ডি লিড তবে এক ওভারে তেজা নিদামানুরু ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নেন বাবরের দল।

এরপর ৬ষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ১০ রান করে ফিরে যান সাকিব জুলফিকার। এরপর ৪ উইকেট শিকারি বাস ডি লিড দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। একপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি রানের চাকা সচল রাখেন। ৬৭ রানে তাকে থামান মোহাম্মদ নেওয়াজ। ৬৮ বলের ইনিংসে ৬টি চার ২টি ছয় হাঁকান ডাচ অলরাউন্ডার।

এরপর লোগান ভ্যান বিক ছাড়া বাকিদের কেউই হাল ধরতে পারেননি। ৪ রানে ভ্যান ডার মেরউই ও ৭ রানে আউট হন পল মেকেরান। ভ্যান বিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন হারিস রউফ। ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরষ্কার ওঠে সাউদ শাকিলের হাতে। পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ অক্টোবর তার একদিন আগে ডাচরা নামবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

এসজে/আরইউ 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল