গোলাম আজম খান, কক্সবাজার:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চলমান বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ আছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এতে সৈকত কেন্দ্রিক প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কক্সবাজার পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতিসহ কর্মহীনরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকালে শহরের হোটেল মোটেল পর্যটন জোন সুগন্ধা পয়েন্টে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কক্সবাজারে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সুবীর চৌধুরী বাদলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দুই মাস ধরে কক্সবাজার পর্যটন সেক্টর বন্ধ। আমাদের অনেকের পেটে ভাত নাই। নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দেশের করোনা বৃদ্ধির জন্য কোনভাবেই পর্যটনখাত দায়ী নয়।
হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসাকেন্দ্রিক কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মজীবী করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে তাদের পরিবারকে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হবে।
হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবী, যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই কক্সবাজার পর্যটন শিল্প বন্ধ রাখা হয়েছে। তাতে জনগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত সরকারও রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
আবাসিক হোটেল ছাড়াও এখানে আছে শতাধিক খাবার হোটেল। যেসব হোটেলে কাজ করতেন প্রায় দুই সহস্রাধিক শ্রমিক। রাখাইন কেন্দ্রিক শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ শ্রমিক, সৈকতের প্রায় পাঁচ শতাধিক বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার, শতাধিক ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী, ফিশ ফ্রাই, চটপটিসহ ক্ষুদে দোকানি আছেন প্রায় আরও সহস্রাধিক। টুরিস্ট বোট মালিকসহ কর্মচারীর সংখ্যাও পাঁচ শতাধিক। এছাড়াও, ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক, অটোবাইক, ভ্যান-টমটমচালক দুই সহস্রাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। যতদ্রুত সম্ভব কক্সবাজার পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়ার দাবী কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ অফিসার্স এসোসিয়েশনের।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা করিম উল্লাহ কলিমের উপস্থাপনায় এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিয়েশনের আবদুল রহমান পাঞ্জেরী, নাজমুল হাসান জুয়েল, মঈন উদ্দিন, খাইরুল আমিন, আওলাদ হোসেন কেনেডি, নাছির উদ্দীন, আরিফ রিপন রাজিব পাল, সেলিম উল্লাহ, আনোয়ার সিকদার, শহীদুল্লাহ শহীদ,মিজানুল হক,জিকু পাল, শাওকত আলী খান, আবুল কালাম আজাদ, সুজন লস্কর, লোকমান হোসাইন গিয়াস উদ্দিন, সুরজিৎ গুহ প্রমুখ।
সময় জার্নাল/এমআই