গোলাম আজম খান, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় কুতুবজোম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ চারজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ এর একটি টিম। মিয়ানমার থেকে সাগর পথে ইয়াবার বড়ো চালান চট্টগ্রামে নিয়ে এই পাচারকারীর দল।
কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর মিডিয়া সেলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী আজ সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান গোপন সংবাদে র্যাব জানতে পারে একটি চিহ্নিত মাদক কারবারি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার হতে বড় একটি মাদকের চালান নিয়ে ফিশিং বোটযোগে সমুদ্রপথে কক্সবাজারের মহেশখালী কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা ব্রীজের দিকে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল গভীর রাতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি’র একটি দল উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানস্থলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত ফিশিং বোটে থাকা মাদক কারবারীরা পালানোর চেষ্টাকালে চারজন মাদক কারবারীকে র্যাব গ্রেফতার করে। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত বোটের ভিতর বিশেষ কায়দায় ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে। পরে ফিশিং বোট তল্লাশী করে বোটে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত মাছ রাখার বক্সের ভিতর হতে ১ লক্ষ ত্রিশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা হলো মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের মুসলিম মিয়ার পুত্র জাহিদ হোসেন মৃত তাজের মুল্লুকের পুত্র কবির হোসেন মৃত হাবিবুল্লাহর পুত্র সালামতুল্লাহ ও মৃত মজু বলির পুত্র রুহুল আমিন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাদক কারবারিরা জানায় পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে সীমান্তবর্তী এলাকার স্থল ও সমুদ্র পথ দিয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। এই চক্রটি মূলত কক্সবাজার কেন্দ্রিক একটি মাদক চোরাকারবারী চক্র। তারা সাগর পথে মিয়ানমার থেকে মহেশখালীর সমুদ্র উপকূল সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গায় ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এসব ইয়াবা সাগর ও সড়ক পথে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চালান করে। তারা কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের নির্ধারিত এজেন্টদের নিকট নৌ-পথে মাছের ও লবণের ট্রলারে এবং সড়ক পথে ট্রাক/কাভার্ড ভ্যানে এসব ইয়াবা পৌঁছে দিয়ে থাকে বলে র্যাব জানতে পারে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
এমআই