জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : এবার শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় আগেভাগেই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে ঠাকুরগাঁও জেলার শহর-গ্রামের আম বাগানগুলোতে। থোকা থোকা মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে আম গাছের ডালপালা। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে।
মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। আর মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কয়েকটি আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল আর মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে প্রতিটি গাছের ডালপালা।
নারগুন গ্রামের আম বাগানের মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার প্রতিটি আম গাছেই মুকুল ভালো এসেছে। তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেই ফলন ভালো পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
বাগান মালিক আব্দুর মালেক জানান, প্রায় গত দুই তিন সপ্তাহ আগে থেকেই তাদের বাগানের আম গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। বেশির ভাগ গাছেই মুকুল এসে গেছে। কিছু গাছে মুকুল বের হচ্ছে।
মুকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে মুকুলকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন বলেও জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম্রপালি, গোপালভোগ, ফজলি ও ল্যাংড়াসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আমের চাষ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলও এসেছে ভালো। তবে ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। এ চাষ সফল করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশক সরবরাহ নিশ্চিত করেছে বলেও জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এমআই