মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় চবির শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে "ফ্রি প্যালেস্টাইন", "বাংলাদেশ স্ট্যান্ডস উইথ প্যালেস্টাইন" সহ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন প্লেকার্ড ও ফেস্টুন হাতে আন্দোলন করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ইসরায়েলিদের ১৯৪৮ সালের পূর্বে কোনো দেশ ছিল না, ছিল না কোনো নির্ধারিত থাকার জায়গা। ফিলিস্তিনিবাসী ইসরায়েলিদের অসহায়ত্ব দেখে ফিলিস্তিনে থাকার জায়গা দিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল তাদের আশ্রয়দানকারীদের আজ নির্মমভাবে হত্যা করছে। ফিলিস্তিনিদের সম্পদ লুট করা হচ্ছে, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। মানবেতিহাসে এত জঘন্যতম গণহত্যা ও অপরাধের নজির খুব কমই আছে। আমরা এ নৃশংসতার প্রতিবাদ জানাই।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, আমরা জাতিগতভাবে পৃথিবীর নিপীড়িত মজলুম মানুষের পক্ষে। কোনো দখলদার বাহিনীকে আমরা সমর্থন করি না। ফিলিস্তিনের ভূমিতে আশ্রয় নিয়ে দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। সারা বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের ঠিকাদারি নিয়ে নিজেদের সুপার পাওয়ার দাবি করা গোষ্ঠী আজ ইসরায়েলের বর্বরতা ও দখলদারিত্বের বিপক্ষে ভূমিকা রাখছে না। মূলত তারা সন্ত্রাস দমন নয়, নিজেদের স্বার্থে পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিতে চায়। আমরা তাদের কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। দাবি জানাচ্ছি, বাংলাদেশের পাসপোর্টে 'এক্সসেপ্ট ইসরায়েল' বহাল রাখা হোক।
আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যখন উমর (র.) এর নেতৃত্বে মুসলিমরা ফিলিস্তিন বিজয় করেন, তখন এক ফোঁটা রক্তও ঝরেনি। ফিলিস্তিনের ইতিহাসে মুসলমানদের শাসন আমল ছিলো উজ্জ্বল ও নিরাপত্তায় পরিপূর্ণ। সেখানে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের আজকের বর্বরতা সত্যিই বিস্ময় জাগায়। আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ন্যায় সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।"
এসময় শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী ও নিপীড়িত জনগণের সমবেদনা জ্ঞাপন ও দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করেন।
এমআই