আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তেল আবিবে রকেট হামলা চালানোর দাবি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। সোমবার (১৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে তেল আবিবে রকেট ছুড়েছে হামাস। তবে শহরটিতে রকেট হামলার কোনো সাইরেন বাজানো হয়নি।
তেল আবিবের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল-১৩ বলছে, গাজা থেকে ধেয়ে আসা একটি রকেট সমুদ্রে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযানের আশঙ্কায় গাজা উপত্যকার উত্তরের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দা দক্ষিণের দিকে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গত কয়েক দিন ধরে চলমান যুদ্ধে অন্তত ১৯৯ ইসরায়েলিকে অপহরণ করেছে হামাস।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা হামলায় আড়াই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯ হাজার ৬০০ জন। তাছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও কমপক্ষে এক হাজার ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্যও রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের কারণে গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী স্বাস্থ্য ঝুঁকিয়ে রয়েছেন। তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবাও পাচ্ছেন না।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিল (ইউএনএফপিএ) জানিয়েছে, গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীরা প্রাথমিক যেসব স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন সেগুলোর জন্য রীতিমত লড়াই করছেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নারী আগামী মাসেই সন্তান প্রসব করবেন। তাদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
সময় জার্নাল/এলআর