প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর:
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্ম আনন্দমুখর একটি পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে ১৯৬৪ সালের ১৮ই অক্টোবর। দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে ঘরে থাকতেন শেখ রাসেল সেই ঘরটিতেই মায়ের কোল আলো করে জন্মেছিলেন। রাসেলের জন্মতে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর পরিবার নয় বরং পুরো বাঙালি জাতি আনন্দে ভেসেছিল।
পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। পরিবারের সব আনন্দ রাসেলকে ঘিরে। বড় ভাই বোনদের আদর সোহাগে রাসেল সোনা বড় হতে থাকে। জন্মের প্রথম দিন থেকে রাসেলের ছবি তুলা শুরু হয়। সব ভাই বোন মিলে ওর জন্য আলাদা একটা অ্যালবাম করেছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে অন্যসব জিনিসপত্রের সাথে অ্যালবামটা লুট করে নিয়ে যায়। হারিয়ে যায় অতি যত্নে তোলা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবার আদরের ছোট্ট রাসেলের অনেক দুর্লভ ছবি।
রাসেল তার বড় বোনকে ‘হাসুপা’ বলে ডাকত। বড় দুই ভাই কামাল ও জামালকে ‘ভাই’ বলতো আর ছোট বোন রেহানাকে ‘আপু’ বলত। ১৯৬৬ সালে রাসেল যখন কেবল হাটতে শিখেছে, আধো আধো কথা বলতে শিখেছে, বঙ্গবন্ধু তখন ৬ দফা দিলেন, তারপরই তিনি গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলেন। রাসেলের মুখে হাসিও মুছে গেল। সারা বাড়ি ঘুরে ঘুরে রাসেল তার পিতাকে খুঁজত।
সকলের প্রিয় শেখ রাসেলের নামকরণের পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারন।বঙ্গবন্ধু বরাবরই ছিলেন শান্তিপ্রিয় একজন মানুষ।যার কারণে বিশ্ব বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল ছিল তাঁর খুব পছন্দের মানুষ এবং বঙ্গবন্ধু সেই বিখ্যাত মানুষটির নামের সাথে মিল রেখে তার কনিষ্ঠ পুত্রের নামকরণ করেন। শেখ রাসেলের জন্মক্ষণ সম্পর্কে তার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মৃতি বড় মধুর স্মৃতি বড় বেদনার’ নামক স্মৃতি চারণ মূলক নিবন্ধে লিখেছেন, “১৯৬৪ সালের অক্টোবরে রাসেলের জন্ম। তখনও বাড়ির দোতলা হয়নি, নিচতলাটা হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব কোণে আমার ঘরেই রাসেলের জন্ম হয়। মনে আছে আমাদের সে কি উত্তেজনা। আমি, কামাল, জামাল, রেহানা, খোকা কাকা অপেক্ষা করে আছি। বড় ফুফু, মেজ ফুফু তখন আমাদের বাসায়। আব্বা তখন ব্যস্ত নির্বাচনী প্রচার কাজে। আইয়ুবের বিরুদ্ধে ফাতেমা জিন্নাহ্কে প্রার্থী করা হয়েছে সর্বদলীয়ভাবে। বাসায় আমাদের একা ফেলে মা হাসপাতালে যেতে রাজি না। তাছাড়া এখনকার মতো এত ক্লিনিকের ব্যবস্থা তখন ছিল না। এসব ক্ষেত্রে ঘরে থাকারই রেওয়াজ ছিল। ডাক্তার-নার্স সব এসেছে। রেহানা ঘুমিয়ে পড়েছে। ছোট্ট মানুষটা আর কত জাগবে। জামালের চোখ ঘুমে ঢুলুঢুলু, তবুও জেগে আছে কষ্ট করে নতুন মানুষের আগমনবার্তা শোনার অপেক্ষায়।
এদিকে ভাই না বোন! ভাইদের চিন্তা আর একটা ভাই হলে তাদের খেলার সাথী বাড়বে, বোন হলে আমাদের লাভ। আমার কথা শুনবে, সুন্দর সুন্দর ফ্রক পরানো যাবে, চুল বাঁধা যাবে, সাজাব, ফটো তুলব, অনেক রকম করে ফটো তুলব।
অনেক কল্পনা মাঝে মাঝে তর্ক, সেই সঙ্গে গভীর উদ্বেগ নিয়ে আমরা প্রতি মুহূর্ত কাটাচ্ছি। এর মধ্যে মেজো ফুফু এসে খবর দিলেন ভাই হয়েছে। সব তর্ক ভুলে গিয়ে আমরা খুশিতে লাফাতে শুরু করলাম। ক্যামেরা নিয়ে ছুটলাম। বড় ফুফু রাসেলকে আমার কোলে তুলে দিলেন। কি নরম তুলতুলে। চুমু খেতে গেলাম, ফুফু বকা দিলেন। মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল, ঘাড় পর্যন্ত একদম ভেজা। আমি ওড়না দিয়ে ওর চুল মুছতে শুরু করলাম। কামাল, জামাল সবাই ওকে ঘিরে দারুণ হইচই।”
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে অনেক কবুতরের ঘর ছিল। সেখানে অনেক কবুতর থাকত। রাসেল খুব ভোরে মায়ের সাথে ঘুম থেকে উঠে নিচে যেত, মায়ের সাথে নিজের হাতে কবুতরের খাবার দিত, কবুতরের পিছন পিছন ছুটত। কবুতরের প্রতি রাসেলের ছিল আলাদা রকম মায়া মমতা। রাসেলকে কবুতর দিলে কখনও খেতনা। ছোট্ট বাচ্চা রাসেল কীভাবে যে টের পেত তা কে জানে। শত চেষ্টা করেও কেউ কোন দিন রাসেলকে কবুতরের মাংস খাওয়াতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও শেখ রাসেলের প্রতি ছিল অপরিসীম ভালোবাসা ও পিতৃস্নেহ । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার কারাগারের দিন পুঞ্জি ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামক গ্রন্থে অনেক জায়গায় তার কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল সম্পর্কে লিখেছেন। উল্লেখিত গ্রন্থে ২৪৯ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘৮ই ফেব্রুয়ারি ২ বৎসরের ছেলেটা এসে বলে, “আব্বা বালি চলো”। কি উত্তর ওকে আমি দিব। ওকে ভোলাতে চেষ্টা করলাম ও তো বোঝে না আমি কারাবন্দি। ওকে বললাম, “তোমার মার বাড়ি তুমি যাও। আমি আমার বাড়ি থাকি। আবার আমাকে দেখতে এসো।” ও কি বুঝতে চায়! কি করে নিয়ে যাবে এই ছোট্ট ছেলেটা, ওর দুর্বল হাত দিয়ে মুক্ত করে এই পাষাণ প্রাচীর থেকে! দুঃখ আমার লেগেছে। শত হলেও আমি তো মানুষ আর ওর জন্মদাতা।
অন্য ছেলেমেয়েরা বুঝতে শিখেছে। কিন্তু রাসেল এখনও বুঝতে শিখে নাই। তাই মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে যেতে চায় বাড়িতে।’ ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে অন্যত্র (পৃষ্ঠা নং-২৩৪) বঙ্গবন্ধু শেখ রাসেল সম্পর্কে লিখেছেন, ‘রাসেল একবার আমার কোলে, একবার তার মার কোলে, একবার টেবিলের উপরে উঠে বসে। আবার মাঝে মাঝে আপন মনেই এদিক ওদিক হাঁটাচলা করে। বড় দুষ্ট হয়েছে, রেহানাকে খুব মারে।‘
শিশু রাসেলের জন্মের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন সময়ে নানান কারণে জেলে যেতে হয়েছে। তাই ছোট্ট রাসেল তার বাবার সান্নিধ্য খুব কমই পেয়েছে। রাসেলের সব থেকে প্রিয় সঙ্গী ছিল তার হাসুপা (শেখ হাসিনা)। তার সমস্ত সময় জুড়েই ছিল হাসু আপা। রাসেল হাসুপা’র চুলের বেনী ধরে খেলতে পছন্দ করত। সে চুল ধরে নাড়াত আর ফিক ফিক করে হাসত। রাসেলের হাঁটা শুরুও হয়েছে তার প্রিয় হাসুপা’র হাত ধরে তাও আবার একদিনেই। এটি একটি বিরল ঘটনা। আসলে রাসেলের সবকিছুই একটু ব্যতিক্রম ছিল, আর থাকবে নাই বা কেন? সে যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র। তার শরীরের প্রতিটি শিরায় উপশিরায় বহমান ছিল ব্যক্তিত্ব, মানবতাবোধ আর ভিন্নতা ।
‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বইয়ের একুশ পৃষ্ঠায় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘আব্বার সঙ্গে প্রতি ১৫ দিন পর আমরা দেখা করতে যেতাম। রাসেলকে নিয়ে গেলে ও আর আসতে চাইত না। খুবই কান্নাকাটি করত। ওকে বোঝানো হয়েছিল যে, আব্বার বাসা জেলখানা আর আমরা আব্বার বাসায় বেড়াতে এসেছি। আমরা বাসায় ফেরত যাব। বেশ কষ্ট করেই ওকে বাসায় ফিরিয়ে আনা হতো। আর আব্বার মনের অবস্থা কী হতো, তা আমরা বুঝতে পারতাম। বাসায় আব্বার জন্য কান্নাকাটি করলে মা ওকে বোঝাতেন এবং মাকে আব্বা বলে ডাকতে শেখাতেন। মাকেই আব্বা বলে ডাকত।’
বঙ্গবন্ধু ভবনে একটা পোষা কুকুর ছিল, নাম ছিল টমি। রাসেল টমিকে নিয়ে খেলত। একদিন খেলতে খেলতে হঠাৎ টমি ঘেউ ঘেউ করে উঠে, রাসেল ভয় পেয়ে যায়। কাঁদতে কাঁদতে ছোট আপু শেখ রেহানার কাছে এসে বলে, ‘টমি বকা দিচ্ছে।’ টমি তাকে বকা দিয়েছে, এটা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা। কারন সে টমিকে খুব ভালবাসতো। নিজের পছন্দ মতো খাবার গুলো টমিকে ভাগ দেবেই, কাজেই সেই টমি বকা দিলে তার কাছে কষ্টতো লাগবেই।
ছোট্ট রাসেলের ছিল পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা, কাছে পাওয়া, কাছে থাকার সান্নিধ্যের টান। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় টানা তিন বছর কারাভোগের পর ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গণ-অভ্যুথানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন মুক্তি পান, তখন ছোট্ট রাসেলের বয়স চার বছর পার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তখন তার বাসায় নিচ তলায় অফিস করতেন, শেখ রাসেল সারাদিন নিচে খেলা করত; আর একটু পরপর তার আব্বাকে দেখতে যেত। রাসেল মনে মনে বোধ হয় ভয় পেতেন যে, ‘তাঁর আব্বাকে বুঝি আবারও হারিয়ে ফেলে।’
ছোট্ট রাসেলের গভীর আনন্দের দিন ছিল ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী যে দিন বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন ।সে ক্ষনিকের জন্যও তার বাবাকে হাতছাড়া করতে চাইত না। সব সময় রাসেল তার আব্বার পাশে পাশে ঘুরে বেড়াতো। বঙ্গবন্ধু প্রতিদিন সকালে গনভবনে আসতেন অফিস করতেন। দুপুরে গনভবনেই খাওয়া দাওয়ার পর বিশ্রাম নিতেন। বিকেলে হাটতেন। রাসেল প্রতিদিন বিকেলে গণভবনে যেত, তার প্রিয় সাইকেলটাও সঙ্গে নিত। সাইকেল চালানো তার খুব প্রিয় ছিল।
১৯৭৫ সালের ৩০ শে জুলাই যখন বড় বোন শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে জার্মানিতে যান তখন রাসেল খুব মন খারাপ করেছিল। বড় বোন শেখ হাসিনা রাসেলকেও সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু হঠাৎ রাসেলের জন্ডিস হয়ে শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। সে কারণে মা বেগম মুজিব বড় বোনের সাথে রাসেলকে জার্মানিতে যেতে দেন না। রাসেল যদি সেদিন বোনদের সাথে জার্মানিতে যেতেন তাহলে ওকে আর ঘাতকের বুলেটের নির্মম আঘাতে হারাতে হত না।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। তিনি তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন ।বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারের সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাঁকেও হত্যা করেছিল।মুহূর্তে ১০ বছর ৯ মাস ২৮ দিনের নিষ্পাপ শিশু রাসেল নিরব নিথর হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কি দোষ ছিল এ মাসুম শিশুটির? কি দোষ ছিল বাংলার বুকে তার জন্মদাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের? ।
আগস্ট এলে আমাদের চোখে ভেসে উঠে শেখ রাসেলের কোমল মুখ। আগস্টের এই শিশু কিশোর হত্যা গোটা বিশ্বকে অবাক করে দেয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের ক্ষেত্রে নিহতের তালিকায় অন্তঃসত্তা বা নব বিবাহিতা তরুনী অথবা দুগ্ধ পোষ্য শিশুরা ছিল না, যেমন ছিল পঁচাত্তরের আগস্ট হত্যাকান্ডের নিহতদের মধ্যে। রাসেলের মুখে করুণ আকুতি ঝড়ে পড়ল, ‘আমাকে মেরো না, আমি কোনো অন্যায় করি নি। আমাকে হাসুপা’র কাছে পাঠিয়ে দাও’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকত, তাহলে হয়তো একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা আজ আমরা পেতাম, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারত।’ শেখ রাসেলের বাঁচার অধিকারকে হত্যাকারীরা অভয় দিয়েও রক্ষা করেনি। বেঁচে থাকার সে কি অশেষ ইচ্ছে। বাড়ির প্রায় সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। সে সময়ই রাসেল বাঁচার জন্য কাকুতি মিনতি করেছিল। কিন্তু খুনিরা তার পরিচয় জেনেই ওপরে নিয়ে হত্যা করে। একারণেই রাসেল ও আগস্টে নিহত শিশুর হত্যার বিষয়টি সমগ্র বাঙালীর কাছে আবেগের শোকাহত উপলদ্ধি।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালো রাতে শিশু রাসেলকে সেদিন যারা হত্যা করেছিল তারা কিন্তু ব্যাপারটি হঠাৎ করে ঘটায়নি। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সুচিন্তিত ভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সর্বশেষ রক্তের ধারা শেষ চিহ্নটি নিধন করার জন্যই ঘাতকেরা এই নির্মম হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছিল। মহান রাব্বুল আল-আমিনের অশেষ কৃপায় সৌভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। আজ সেই খুনিদের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। অনেকের বিচারও হয়েছে ইতিহাসের ধারাবাহিকতায়। উদ্ঘাটিত হচ্ছে পঁচাত্তরের সেই ষড়যন্ত্রের জাল-আর ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে রক্ত মাখা সময়ের ঘটনাবলী। আমরা চাই মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ঘাতকদের যারা বাকী আছে তাদের গ্রেফতার করে ফাঁসির রায় কার্যকর করে এ হত্যার পূর্নাঙ্গ রায় বাস্তবায়ন হোক।
লেখক : ট্রেজারার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।