নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। কমছে না মাছ-মাংসের দামও। পেঁয়াজেও আছে ঝাঁঝ। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ এখন ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গেল সপ্তাহে ২০০ টাকার ওপরে ছিল। তবে ডিমের দাম অপরিবর্তিত আছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাজার কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
সম্প্রতি সারাদেশে টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও ঢাকার বাজারগুলোতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়তি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা এমন দাবি করলেও বাজারে এমন কোনো সবজি নেই, যা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি সবজির সরবরাহও প্রচুর। সব বাজারেই এমন চিত্র দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ও শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি কেজিতে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গোল বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, কচুমুখী ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স-পটল-চিচিঙা-ঝিঙা-কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ও টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শিম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারও চড়া। এক কেজি সাইজের রুই মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এক কেজির ওপরেওগুলো বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে। সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাস মাছ। এই মাছ ১৯০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি নেই মুরগির বাজারেও। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী জানান, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। শীতের সবজি নামলে দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।
বিক্রেতারা জানান, সম্প্রতি ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, যশোর ও কুষ্টিয়ার আশপাশের সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব স্থান থেকে রাজধানীতে বেশিরভাগ সবজি আসে। সরবরাহে ঘাটতির কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। কিছুদিনের মধ্যে শীতের সবজি নামলে দাম কমবে বলে জানান তারা।
এমআই