আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজার উত্তরে অবস্থান করা ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, উপত্যকার দক্ষিণ দিকে সরে যেতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের বার বার হুমকি দিচ্ছে। এরপরেও যারা উত্তর অংশে থাকবে তাদেরকে একটি 'সন্ত্রাসী সংগঠনের' সহমর্মী ও সহযোগী বলে বিবেচনা করবে ইসরায়েল।
গতকাল শনিবার থেকেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নাম ও প্রতীক সম্বলিত লিফলেট ফেলা হচ্ছে গাজার উত্তর অংশে। ইসরায়েল থেকে তাদের মুঠোফোনে অডিও বার্তা পাঠিয়েও একইকথা বলা হচ্ছে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, 'গাজার বাসিন্দারা, এটি জরুরি সতর্কবার্তা। ওয়াদি গাজার উত্তরে অবস্থান করার ফলে তোমাদের প্রাণসংশয় রয়েছে। এই অবস্থায়, যারা উত্তর গাজা ছেড়ে ওয়াদি গাজার দক্ষিণে চলে না যাবে, তাদেরকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সহযোগী বলে চিহ্নিত করা হবে।'
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতোন কোন ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগঠন বড় ধরনের আক্রমণ অভিযান চালায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে। তারপর থেকেই আকাশপথে নিরন্তর গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল। স্থল ও নৌপথ থেকেও করা হচ্ছে গোলাবর্ষণ। গাজার হাসপাতাল, জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল কোনকিছুই বাদ যাচ্ছে না। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের সংকটে বর্ণনাতীত এক মানবিক বিপর্যয়ে গাজা।
দিনকয়েক আগেই গাজার হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। কিন্তু, পরে তারা এ দায়ভার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রও এ বয়ান মেনে নিয়েছে।
এই অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, 'যারা পালায়নি তাদেরকে উক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করার কোন অভিপ্রায় নেই তাদের।'
তারা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করছে না বলেও দাবি করেছে।
'তবে বেসামরিক মানুষের হতাহত এড়াতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ওয়াদি গাজার দক্ষিণ দিকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছে।
এদিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বার বার দক্ষিণে যাওয়ার কথা বললেও, তাদের অব্যাহত বিমান হামলার মধ্যে সাধারণ মানুষ পালাতেও পারছে না। পলায়মান মানুষকেও এর আগে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এমনকি দক্ষিণে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপরও হামলা চলছে।
এমআই