রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সম্মতি পেল ৮ প্রতিষ্ঠান

রোববার, অক্টোবর ২২, ২০২৩
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সম্মতি পেল ৮ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নগদ টাকার ব্যবহার কমানোর অংশ হিসেবে ৮টি ডিজিটাল ব্যাংককে কার্যক্রম পরিচালনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় সম্মতিপত্র (এলওআই) দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন— অর্থ সচিবসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, নুরুন্নাহারসহ প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রমুখ।

লাইসেন্স পেতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগদ ডিজিটাল ব্যাংক, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজি-টেন, ডিজিটঅল, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক এবং নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক।

বোর্ড সভায় অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে পাঁচ থেকে সাত ব্যাংককে সম্মতিপত্র দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ সনদ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যারা শর্তপূরণ করতে পারবে তারাই সনদ নিয়ে ব্যবসা করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ৫২ প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। তিনটা কমিটি মূল্যায়ন করেছে। আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকনোলজি, সিকিউরিটিসহ আরও কিছু বিষয় মিলে ১০০ স্কোর ধরে মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে যারা ৬০’র বেশি স্কোর পেয়েছে তাদের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে নেওয়া হলেও ইন্স্যুরেন্সের একটিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বাকি ৮টিকে এলওআই দেওয়া হয় যার মধ্যে ৩টি ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের বাইরের।

তিনি আরও বলেন, নীতিগত অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন প্রতিষ্ঠান হলো- ডিজি টেন, ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ এবং ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি হলো- নগদ ও এসিআই-এর কড়ি ডিজিটাল পিএলসি।। এ দুটিই এখন এলওআই ইস্যু করা হলো। বাকি তিন প্রতিষ্ঠানকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এ তিন প্রতিষ্ঠান একই গ্রুপের হওয়ায় নগদ ও কড়ির পারফরম্যান্স দেখে ছয় মাস পর এলওআই ইস্যু করা হবে।

ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে আবেদন করেছে ব্যাংকসহ ৫২টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আবেদনকৃত তালিকার মধ্যে ১০টি বেসরকারি ব্যাংকের ‘ডিজি টেন ব্যাংক পিএলসি’ নামে একটি কনসোর্টিয়াম রয়েছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। তাছাড়া চার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা এবং রূপালী ব্যাংকও আরেকটি ডিজিটাল ব্যাংকজোট গঠন করতে চায়। লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী নগদ, বিকাশ, মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক এবং ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থা পাঠাও।

ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান একটি কার্যালয় থাকবে কিন্তু সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম-সিআরএম থাকবে না। এটি হবে অ্যাপ-নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে।

নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে প্রথাগত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগে ৫০০ কোটি টাকা। এ ব্যাংকে প্রত্যেক স্পনসরের সর্বনিম্ন শেয়ারহোল্ডিং হবে ৫০ লাখ টাকা (সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা ১২.৫ কোটি টাকা)।

পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারী একটি স্পনসরকে যৌথভাবে ক্যাপিটাল মেইনটেন্যান্স চুক্তি (সিএমএ) স্বাক্ষর করতে হবে। তবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে কোন সময়ে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপি হয়েছেন এমন কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের স্পনসর হিসেবে আবেদন করার যোগ্য হবেন না। একইভাবে ঋণখেলাপি অবস্থা বা তার বিরুদ্ধে কোনো আদালত ট্রাইব্যুনালে কোনো নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায়ের অপেক্ষায় থাকলেও তিনজনের স্পনসর হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল