সর্বশেষ সংবাদ
ডা. জোবায়ের আহমেদ :
রোজিনা ইসলাম চোর না ঘষেটি বেগম এসব আমার কাছে মুখ্য নয়।
রোজিনা ইসলাম এমন একজন সাংবাদিক যিনি ইতিপূর্বে অনেকগুলো রিপোর্ট করে জানিয়েছেন আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে কিভাবে লুটপাট হচ্ছে।
এই লুটপাটের টাকার মালিক এই দেশের জনগন।
লুটপাটকারীদের চেহারা উন্মোচন করে রোজিনা ইসলাম জনগনের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন।
তাকে আমি স্যালুট জানাই।
কাজী জেবুন্নেসার দুই মেয়ে অষ্ট্রেলিয়ায় লেখাপড়া করেন।
আমাদের দেশের অনেক বিত্তশালীদের ছেলেমেয়েরা এভারেজ মেধাবী হয়েও অঢেল টাকা দিয়ে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।
কিন্ত আমরা অনেকে দেশের প্রাইভেট মেডিকেল বা ইউনিভার্সিটিতেই পরতে পারতাম না যদি না সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চান্স না পেতাম।
প্রশ্ন করতে হবে উপসচিব কাজী জেবুন্নেসা ও তার স্বামীর যেই বেতন তা দিয়ে দেশের খরচ মিটিয়ে বিদেশে দুই মেয়েকে পড়ার মত সামর্থ্য থাকার কোন সুযোগ নেই।
তবে তাদের এই টাকার উৎস কি?
শুনা যাচ্ছে তাদের দেশে বিদেশে অনেক বাড়ি ও সম্পত্তির কথা।
এসব তারা কিভাবে অর্জন করলেন।
নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে রোজিনা ইসলাম যেই রিপোর্ট করেছেন সেখানে প্রতিজন থেকে ১৫ লাখ টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নিয়োগ কমিটির একজনকে এক কোটি টাকা ঘুষ ও পদোন্নতির অফার দেওয়া হয়েছিলো।
তবে আমাদের মেধাবী ও যোগ্য ছেলে মেয়েরা কিভাবে চাকরি পাবেন?
একজন গরীব কৃষকের ছেলে,একজন বিধবা মায়ের মেয়ে কিভাবে চাকুরী পাবেন?
এই ঘুষ নিয়ে নিয়োগে যারা প্রকৃত মেধাবী ও যোগ্য তারা বঞ্চিত হবেন।
যারা ১০-১৫ লাখ ঘুষ দিতে পারেন,তাদের এই টাকার উৎস কি?
আল্টিমেটলি কাদের হারিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ঘুষ নিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করে তা ভেবে দেখেছেন?
কোন রাষ্ট্রীয় সিক্রেটস অযত্নে সচিবের পিএস এর টেবিলে পড়ে থাকেনা
চুরি চামারি দুই নাম্বারিতে যারা সিদ্ধ,তারা এতটা বলদামি করার কথা না।
ঘটনা অন্য জায়গায়।
তা হলো এমন কোন অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে কারো স্বার্থ হাছিল করার চুক্তি করেছিলো কাজী জেবুন্নেসারা যা রোজিনা প্রকাশ করলে তারা ন্যাংটা হয়ে যেতেন।
বাতাসে শুনলাম,দেশীয় তিন কোম্পানি রাশিয়ান ফর্মুলা অনুযায়ী ভ্যাক্সিন বানাতে চেয়েছিলো।
এরপর বিশেষজ্ঞ কমিটি দুই কোম্পানিকে ২/২০ নাম্বার দিয়েছেন।কিন্ত তারা জেবুন্নেসাদের খুশি করে কাজটা বাগিয়ে নিয়েছিলো প্রায়।
সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতটা জানতেই রোজিনা ইসলাম ঘুরাফেরা করছিলেন সেদিন।
তাহলে আরো বড় চামারির একটা রিপোর্ট সে করতে পারতো।
বাকি যত কথা বলা হচ্ছে আমার কাছে এটাই যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে।
সাংবাদিকদের আমরা গালি দিতে পারি অনেক কারণে।
তাদের লজিক্যাল সমালোচনাও করতে পারি।
অনেক সাংবাদিক চাটুকার ও দালালের ভূমিকা পালন করছেন।
জাতির বিবেক হতে না পারায় তাদের কথা আজকাল বিশ্বাস করেনা কেউ।
যে আপনি সাংবাদিকদের দোষ দেন,তারা সরকারের তাবেদারী করে,সেই আপনি কিভাবে জনবান্ধব একজন সাহসী সাংবাদিককে চোর বলতে পারেন?
এত এথিক্স পেটে নিয়া ঘুমান কিভাবে?
এই দেশের জনগনের সম্পদ লুটপাটে সাংবাদিকরা ভাগ পায় কিনা জানিনা।
কিন্ত আমলারা ও রাজনৈতিক নেতারা আমাদের অধিকার ও সম্পদ লুন্ঠন করছেন।
তারা দেশের টাকা পাচার করছেন।
তারা কানাডায় বেগম পাড়া গড়ে তুলছেন এই দেশের মানুষের টাকা ডাকাতি করে।
তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব তারা ঠিকমতো পালন করেনা।
একজন সাংবাদিক জনগনের অধিকার হরণ করেনা।
একজন আমলা তা করেন।রাজনৈতিক নেতা তা করেন।
সেসব আমলাদের বউ বেকার, গৃহিনী শুধু তাদের ঠাটবাট দেখলেই বুঝবেন কিভাবে লুটপাট ও টুপাইস কামাই চলছে।
সরকারও আমলা নির্ভর এখন।
আমলারাই রাতের ভোটের কুশীলব।
আমলারাই আপনার নাগরিক অধিকার ভোট প্রয়োগের ক্ষমতা ও সুযোগ কেড়ে নিয়েছে।
মহামতি নুরুল হুদা একজন আমলা ও দলদাস এটা ভুলে যাচ্ছেন কেন?
এই দেশের যত চুরি,লুটপাট, দূর্নীতি সবকিছুর সাথে আমলাদের যোগসাজশ আছে।
তারা নীতিবান ও সৎ হলে রাজনৈতিক নেতারাও দুই নাম্বারি করার সাহস পেতো না।
এই সত্য বাস্তবতা যদি না বুঝেন,তবে বেহুদা হাউকাউ করে লাভ হবে না।
আমলারা নিজেদের রাজা ভাবে।
আমরা তাদের প্রজা।তাদের অনেকের আচরণ বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে।
তাদের স্যার না বললে তারা কতটা ক্ষিপ্ত ও হিংস্র আচরণ করে তা অতীতে দেখা গিয়েছে।
রোজিনা ইসলামকে তারা এবার চরমভাবে শায়েস্তা করেই ছাড়বেন।
তাদের গাট্টির খবর প্রকাশ করায় নিশ্চয় তারা আনন্দে রোজিনাকে কেক ও কোক দিয়ে আপ্যায়ন করবেন না।
এত বেশি কন্সপাইরেসি থিউরি আওড়ানোর কিছু নেই।
সিম্পলি চিন্তা করলেই দেখবেন আমলাদের লুঙ্গি ও পায়জামা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রোজিনা ইসলাম।
এখন আমলাদের ইজ্জত ও আব্রু সুরক্ষিত না হলে যে সরকারের ইজ্জতও থাকছেনা তা বুঝতে কি রকেট সায়েন্টিস হওয়া লাগবে??
সেজন্যই সরকার মহোদয় আমলাদের পক্ষে থাকবেন।
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল