মো: সাইদ আহম্মদ, শেকৃবি প্রতিনিধি:
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) টয়লেট সংকট ও অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একাডেমিক কার্যক্রমের কৃষি অনুষদের ভবন ও শেখ কামাল ভবনে প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস করলেও দুইটি ভবন পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে যে কয়েকটি টয়লেট আছে তার মধ্যে অধিকাংশই বন্ধ এবং অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি আবাসিক হলেও।
সরজমিনে দেখা যায় শেখ কামাল ভবনের ভবনের চতুর্থ তলায় টয়লেটগুলো তালা দেওয়া অথচ এই তলায় ক্লাস করেন এএসভিএম অনুষদের লেভেল- ১ এবং লেবেল- ২ এর প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী। একই চিত্র ভবনটির সপ্তম তলায়ও। অবশ্য এএসভিএম অনুষদের ডিন অফিস চতুর্থ তলায় হওয়ায় সে তলায় টয়লেট গুলো চালু অবস্থায় থাকলেও কয়েকটির দরজা ভাঙ্গা। কয়েকটিতে আবার দরজা আটকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কলম। ওয়াশরুম গুলোতে কয়েকটি বেসিন থাকলেও একটি বাদে বাকিগুলো ব্যবহার অনুপযোগী।
এ বিষয়ে এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
আমরা প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী পঞ্চম তলায় ক্লাস করি কিন্তু এই তলায় কোন প্রকার স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই। যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের নিচের ফ্লোরে দৌড়াতে হয় কিন্তু সেখানে গিয়েও অধিকাংশ সময় টয়লেট গুলো ফাঁকা পাওয়া যায় না। অন্যদিকে টয়লেট গুলো প্রচণ্ড নোংরা হওয়ায় বেশিরভাগই অনুপযোগী। প্রশাসন টয়লেটের সমস্যা দ্রুত সমাধান করলে এখানে ক্লাসে করা শতাধিক শিক্ষার্থী স্বাচ্ছন্দ্যে ক্লাস করতে পারে।
এ বিষয়ে ফিশারীজ অনুষদের আরেকজন শিক্ষার্থী তানভীর শুভ বলেন,
আমরা প্রায় সাত মাস থেকে ক্লাস করছি কিন্তু কখনো টয়লেট গুলো খোলা অবস্থায় পায় নি। বিষয়টি আমাদের থেকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভোগের।
তিনি আরও বলেন, শুধু শেখ কামাল ভবনে নয় আমাদের লুৎফর হলের টয়লেট গুলো পরিষ্কারের অভাবে অধিকাংশ সময় অসাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে। অভিযোগ দেওয়ার পরেও অনেক সময় দেখা যায় সেটি পরিষ্কার হতে অনেক সময় লেগে যায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে অসাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারের ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর টয়লেটে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস থাকে যা ব্যবহারকারী শরীরে প্রবেশ করে রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন আমরা সব বিষয়েই অবগত আছি কিন্তু বাজেট সল্পতা এবং পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে আমরা বিষয়টার সমাধান করতে পারছি না।পাশাপাশি জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধমুখী যা একটি বড় ফ্যাক্টর।আমরা জনবল সল্পতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি। আশা করছি কিছু সময় লাগলেও সমস্যার সমাধান হবে।
এ বিষয়ে হল প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে এক কর্মকর্তা বলেন, জনবল কম হওয়ার কারণে এ সমস্যাটি হচ্ছে। আশা করি অতি শীঘ্রই আমরা সমস্যাটি সমাধান করতে সক্ষম হব।
সময় জার্নাল/এলআর