জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনার তিনদিন পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তারা।
এর আগে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজশাহীর নগর ভবনে আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সমোঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে সমঝোতা হয়। এর পরই নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।
ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় তাদের কর্মী ও সমর্থকরা।
গত শনিবার রাতে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে সভাপতি ও আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে নতুন কমিটিকে 'অবাঞ্ছিত' ঘোষণা করে ছাত্রলীগের একাংশ নেতা-কর্মী৷ এরপর টানা তিনদিন ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তারা আন্দোলন কারীরা। এই তিনদিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ছাত্রলীগের যে সব নেতা কর্মী কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তাদের আমাদের সমঝোতা হয়েছে। খাইরুজ্জামান লিটন ভাই, আমি এবং আমার সাধারণ সম্পাদকে নির্দেশ দিয়েছেন তাদেরকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ।
সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব বলেন, এই কমিটি নিয়ে আমাদের ও কিছু ভাই মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। হওয়াটাও স্বাভাবিক।
কেননা তারাও ৭ বছর রাজনীতি করেছেন। খায়রুজ্জামান লিটন আমাদেরকে ডেকে নিয়ে বুঝিয়েছেন, তারাও বুঝেছে আমরাও বুঝেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা সহ যারা পদ বঞ্চিত হয়েছে তাদেরকে সাথে নিয়েই আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে এগিয়ে নেব।
সময় জার্নাল/এলআর