নিজস্ব প্রতিনিধি:
ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের জন্য এক বিলিয়ন ইউরোর ঋণ পোর্টফোলিও ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন।
বিশেষ করে পানি শোধন ও রেল সংযোগ উন্নয়নের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির কথা তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ব্রাসেলসে তার হোটেলে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষের জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করতে এ পর্যন্ত অর্জিত সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি নদী খনন, পানি সংরক্ষণ এবং ভূ-উপরিস্থ সেচের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য ইআইবিকে অনুরোধ করেন। সাশ্রয়ী মূল্যের যাত্রী ও কন্টেইনার পরিবহনের উন্নয়নে ডুয়েল ট্র্যাক রেলপথ উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি এ ধরনের প্রভাবশালী সংযোগ প্রকল্পে অর্থায়নে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর আগ্রহের প্রশংসা করেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইআইবি প্রেসিডেন্ট ২০২১ সালে স্বাক্ষরিত ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর ঋণ প্যাকেজের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে শিগগিরই এই অর্থ বিতরণ শুরু হবে।
ইআইবি প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করার জন্য আদর্শ অবস্থায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী একটি ভ্যাকসিন উৎপাদন সুবিধা এবং একটি আণবিক পরীক্ষাগার গড়ে তোলার জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। তিনি এসব উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে ইআইবিকে সহায়তা প্রদানের পরামর্শ দেন।
ওষুধ, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সহায়তা করতে পারে বলে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ভ্যাকসিনসহ সম্ভাব্য সহায়তামূলক ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করেন।
২০২২ সালে এটি ইআইবি গ্লোবালের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে বিনিয়োগে প্রায় ১০ দশমিক আট বিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন করেছিল।
২০০০ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ইআইবি দেশে ছয়টি প্রকল্পে সহায়তা করেছে এবং পানি, পরিবহন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পে ৬৭০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি বিনিয়োগ করেছে।
সময় জার্নাল/এলআর