মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইনখ্যাত চিরচেনা ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি একদম ফাঁকা। শনিবারও মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। রোববার বিএনপি-জামায়াতের আহুত হরতালে মহাসড়কে ছিলনা যানবাহনের চলাচল। দূর পাল্লা থেকে কোন যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
মাঝে মধ্যে দুই-একটি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল করছে। হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াত ঝটিকা মিছিল করেছে। আর আ’লীগ স্থানীয় সাংসদের কার্যালয়ে করছেন শান্তি সমাবেশ। তবে সাধারণ মানুষ চলাচল করছেন সিএনজি অটোরিকশা করে। এতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আঞ্চলিক গণপরিবহনও চলাচল করছে না। মহাসড়কে নাশকতা ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, হরতালের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি-জামায়াত ঝটিকা মিছিল করেছে। রোববার সকালে মহাসড়কের বাতিসায় জামায়াত ও পৌর এলাকায় পৌর বিএনপির আহবায়ক হারুন অর রশীদ মজুমদারের নেতৃত্বে পৃথক দুটি ঝটিকা মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘হরতালের সমর্থনে রোববার সকালে আমরা মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করি’।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তি রোগী দেখতে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষা করছেন তারাশাইল গ্রামের সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে আমার নিকটাত্মীয় ভর্তি। বর্তমানে তার মুমুর্ষূ। বাড়ি থেকে অটোরিকশা করে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত এসেছি, মনে করেছি-মহাসড়কে এসে কোন যাত্রীবাহী বাস পাবো। কিন্তু কোন বাস পাচ্ছি না। রোগীও দেখতে যেতে পারছি না।
নুরজাহান বেগম নামের এক বয়োবৃদ্ধ মহিলা জানান, হরতালে গরিব মানুষের কপাল পুড়ে। আমাদের কথা কেউ চিন্তা করে না। কাল রাতে খবর এসেছে-মেয়েটা অসুস্থ্য। তাকে দেখতে যেতে পারছি না। রাস্তায় কোন বাস পাচ্ছি না।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা রোববার দুপুরে বলেন, ‘মহাসড়কে নাশকতা ঠেকাতে জেলা পুলিশের বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে। এছাড়া থানা পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম সড়কে টহল দিচ্ছে’।
সময় জার্নাল/এলআর