বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপি-জামায়াত খুঁজে বের করে এদের ধরিয়ে দিতে হবে

শুক্রবার, নভেম্বর ৩, ২০২৩
বিএনপি-জামায়াত খুঁজে বের করে এদের ধরিয়ে দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
    
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে যার যার এলাকায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাস যারা করে, তাদের ধরে ওই আগুনে ফেলতে হবে। যে হাতে আগুন দেয় ওই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর। তা না হলে তাদের শিক্ষা হবে না। প্রত্যেক এলাকায় কত বিএনপি-জামায়াত আছে, খুঁজে বের করতে হবে। এদের ধরিয়ে দিতে হবে। যাতে মানুষের জান-মাল নষ্ট করতে না পারে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

কারা মজুত করে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করছে তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবজি আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। এটা বাজারে না এনে রেখে দেবে। দাম বাড়িয়ে দেবে। কারা মজুত করে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করছে খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, দুষ্কৃতিকারী কয়েকজনের লাফালাফিতে নির্বাচন বানচাল হবে না। তাদের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। তারা নির্বাচনে আসবে কি না, জানি না। এলেও আসবে, ওই নমিনেশন বাণিজ্য করতে।

মনোনয়ন নিয়ে বিভাজন না করার জন্য সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ কথা ভাবলে চলবে না, ওরা (বিএনপি) তো আসবে না। একটা সিট না পেলে কী হবে! এ চিন্তা যেন কারো মাথায় না থাকে। আমরা মনোনয়নে যে সিদ্ধান্ত দেবো, সেটা মানতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আবারও ভোটের মাধ্যমে সরকারে আসতে হবে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে? হাসপাতালেও বোমা মারছে। মা ভেবেছিলেন, সন্তান নিয়ে হাসপাতালে নিরাপদ থাকবেন। কিন্তু সেখানেও বোমা হামলা করছে ইসরায়েলিরা। আমরা খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছি। ঢুকতে দিচ্ছে না। পাশে মিশরে রেখেছি। আমাদের দেশে বিএনপিও হাসপাতালে হামলা করেছে। তারা ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোনো কথা বলে না।

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন তারা কাকে নিয়ে করবে? নির্বাচন করলে ওদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে নিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? তাদের চেয়ারপারসন তো দুর্নীতির দায়ে জেলে। অসুস্থতা বিবেচনায় আমি তাকে বাসায় থাকতে দিলাম। একটা কুলাঙ্গার ছেলে তৈরি করে গেছেন জিয়াউর রহমান। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও মানিলন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ২১ আগস্ট গ্রেনেডে হামলায় জড়িত, তাতে তো সন্দেহ নাই।

১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড থেকেই হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র শুরু হয় বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সেখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধ্বংস শুরু। জিয়াউর রহমান মুখে বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা। তিনি যদি মুক্তিযোদ্ধা হবেন, তাহলে তার আমলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ হয় কীভাবে?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় চার নেতা, যারা জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মিলে বাংলাদেশ সরকার গঠন করে। ১৭ এপ্রিল মুজিব নগরে শপথ নেয়। মন্ত্রিপরিষদ গঠন হয়। সেখানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। এরপরই যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। যারা জাতির পিতার নেতৃত্বে এই যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বা মন্ত্রিসভায় ছিলেন, বেছে বেছে তাদের হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেল গেটে যে কেউ ঢুকতে পারে না। রাষ্ট্রপতি যখন হুকুম দেন, তখন খোলে। তারা বলেছিলেন, আলোচনা করবে। আলোচনার কথা বলে জেলে ‍ঢুকেছিল। পরে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিবরণ দিয়েছেন।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল