নিজস্ব প্রতিনিধি:
আমদানি বিল পরিশোধের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। এই দফায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের আমদানি দায় বাবদ আকুকে ১২১ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) আকুর এই দায় সমন্বয় করা হয়েছে। এরপর রিজার্ভ কত হয়েছে, তার সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে বুধবার (৮ নভেম্বর)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম ৬ পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের কাছে গ্রস রিজার্ভের স্থিতি ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ২ হাজার ৬৬ কোটি ডলার।
এরপর ১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন আবার বিদেশি ঋণের বেশ কিছু অর্থ যোগ হয়েছে। এরপর আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
এর আগে সর্বশেষ গত জুলাই-অগাস্ট মাসে আকুর দায় বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এবার দায় কিছুটা কমেছে।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার নয়টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা প্রতি দুই মাস পর নিষ্পত্তি হয়। তবে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়। আকুর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আকুর সদস্যদেশগুলো থেকে যে পণ্য আমদানি হয়, তার মূল্য হিসেবে ব্যাংকগুলো প্রতি সপ্তাহেই ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়।
প্রতি দুই মাস পরপর ব্যাংকগুলোর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দায় পরিশোধ করে থাকে। তখন রিজার্ভ হঠাৎ কমে যায়, এরপর আবার বাড়ে।
আকুর বাকি দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে দুই মাস পরপর লেনদেনের অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এসব দেশের মধ্যে ভারত পরিশোধের তুলনায় অন্যান্য দেশ থেকে বেশি ডলার আয় করে। বাকি দেশগুলোর অধিকাংশকেই আয়ের চেয়ে বেশি ডলার খরচ করতে হয়। দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
সময় জার্নাল/এলআর