নিজস্ব প্রতিনিধি:
মাছ খেতে ভালো লাগে। কিন্তু কেনার পরে কাটা একটি ঝামেলা পূর্ণ কাজ। তবে এখন পেশাজীবীদের কারণে এখন সহজ হয়ে উঠেছে। মাছ কাটাকে পেশা হিসেবে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে।
এদিকে, কাঁটা মাছের বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট অংশ নানা ধরণের শিল্পে ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে বাড়ছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। এক সারিতে বসে বৃহদাকৃতির বটি দিয়ে ছোট বড় প্রায় সব ধরণের মাছ কাটতে দেখা গেছে এই পেশাজীবীদের।
বরিশাল পোর্ট রোর্ডে মাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করে সালাম সিকদার বলেন, প্রতিটি গদিতে মাছ কাটার কাজে মোট তিনজন লোক কাজ করে।
তিনি আরো বলেন, তাদের কাঁটা মোট মাছের মধ্যে ৬০ শতাংশ ছোট এবং ৪০ শতাংশ থাকে বড় আকৃতির হয়ে থাকে। ছোট মাছগুলো প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে কাটা হয়। আর বড় মাছের তুলনায় এর খরচ দ্বিগুন।
তবে মাছের উচ্ছিষ্টাংশ বিভিন্ন বানিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। মাছের নারীভূড়ি বিক্রি হয় জৈবসার তৈরিসহ পশুপাখির খাবার তৈরির কাজে। বিভিন্ন মাছের আইশ বিক্রি হয় মণ প্রতি দুই থেকে ৪ হাজার টাকায়। একই ধরণের মাছের আইশ আলাদা বিক্রি হয় তবে দর বেশি এবং মিশ্র বিক্রি হয় কিছুটা কম দামে।
নির্দিষ্ট সময়ে এগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যায় এই শিল্পে জড়িতরা। মাছের আইশ থেকে তৈরি হয় চুমকি সহ বিভিন্ন ধরণের শো-পিস। পূর্বে শুধু বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরার মালিকরা এসে মাছ কাটিয়ে নিয়ে যেত।
কিন্তু দিনে দিনে গৃহস্থলির ক্রেতাদেরও সংখ্যা বাড়ছে। মাছ কাটার ব্যবস্থা থাকায় প্রতিটি বাজারেই ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। তুলনামূলক কম টাকা খরচে এই সুবিধা পেয়ে ক্রেতারাও বেশ খুশি।
পোর্টরোড বাজারে তারাও বেশ সুবিধা নিয়েই ব্যবসা করতে পারছেন।
সময় জার্নাল/এলআর