নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদেশে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই আহ্বান জানান বলে জানিয়েছে এএফপি।
টানা দুই বছর কারাভোগের পর অসুস্থতার কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে ২০২০ সালের মার্চে বাসায় যান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কয়েক দফা তার মুক্তির সময়সীমা বাড়ায় সরকার।
গুলশানের বাসায় ফিরোজায় থাকাকালীন বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলে বিএনপি প্রধানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিডনি, ফুসফুস, হৃদরোগ ও লিভারের জটিলতায় ভোগা খালেদা জিয়া সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট আবারও গুরুতর অসুস্থ হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বেশ কয়েকবার সিসিইউতে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে তার পরিবারের পক্ষে তার ভাই শামিম ইস্কান্দার আবেদন করলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
এই অবস্থার মধ্যে শনিবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লেখেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হবে। এমতাবস্থায় আমি আপনার সরকারের কাছে তার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য আবেদন করছি।
চিঠিতে অবৈধভাবে বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে আটক করা থেকে বিরত থাকতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, 'এভাবে আটক করা হলে তা সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।'
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বলছেন, বিদেশি চিকিৎসা না পেলে দুইবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি নিয়মিত আন্দোলন করছে। এই মুহূর্তে যদি খালেদা জিয়ার মৃত্যু হয় তাহলে দেশে বড় ধরনের আন্দোলন বা বিক্ষোভ হতে পারে।
এমআই