আল জাবের রাফি, বুটেক্স প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী অবরোধের মধ্যেই শুরু হলো ৪৮তম ও ৪৬তম ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বুধবার (৮ নভেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮তম ও ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষা আরম্ভ হয়।
তবে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর ডাকা প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় অবরোধের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসকার্যক্রম কিছুটা শিথিল হয়ে পড়লেও মূল পরীক্ষা কার্যক্রম পূর্বঘোষিত সময়ে ই হচ্ছে। প্রথম দুই দফা অবরোধে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ৪৫তম ও ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস কার্যক্রম অনলাইনে নেয়া হয় এবং ক্লাস টেস্ট, ল্যাব ও ভাইভা ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে।
এর আগে, অবরোধে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণে ৪৬তম ও ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করে শুক্রবার ও শনিবার করার প্রস্তাব দেওয়া হয় পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বরাবর। এতে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আশ্বাস পেলেও পরবর্তীতে তা নাকচ করা হয়।
৪৮তম ব্যাচের পরীক্ষার আগেরদিন মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন ও পরীক্ষা কমিটির সদস্যগণের সমন্বয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ রেজাউল হকের স্বাক্ষরিত পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয় বলা হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা-নেওয়ার জন্য পরিবহন পুলের গাড়িসমূহ পূর্বনির্ধারিত রুটে যথারীতি চলার কথা উল্লেখ করা হয়।
নোটিশের প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে 'বুটেক্স ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র' গ্রুপে পরীক্ষা সংক্রান্ত নোটিশের প্রতিবাদে পোস্টের ঝড় ওঠে। পোস্টে শিক্ষার্থীদের লেখনীতে অবরোধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পোড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তারা যেন সহিংসতার মধ্যে না পড়ে সেজন্য হরতাল-অবরোধের দিনগুলোতে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবী জানায়। এছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয় অনেক দূর থেকে যারা আসে যেমনঃ লালবাগ, পুরান ঢাকা, শনির আখড়া তাদের নিরাপত্তা বিশ্ববিদ্যালয় দিতে পারবে কিনা,এবং কোন দূর্ঘটনা যদি ঘটে তার দায়ভার কর্তৃপক্ষ নিবে কিনা। পাশাপাশি বলা হয়, পরীক্ষাগুলো যেন শুক্রবার অথবা শনিবারে নেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই প্রতিবাদের পরদিনই (৮ নভেম্বর) ৪৮তম ব্যাচের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র হতে পরীক্ষায় উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো বলে জানা যায়।
এমআই