সাইদ আহম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (শেকৃবি) শেখ লুৎফর রহমান হলে প্রতিদিন প্রায় একহাজার শিক্ষার্থীর খাবার রান্না করা হয় । এতসংখ্যক শিক্ষার্থীর খাবার রান্না করলেও খাবারের মান নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন ক্যান্টিন চালানোর নামে রীতিমত ব্যবসা করতে নেমেছেন ক্যান্টিন ম্যানেজাররা।
এছাড়াও, ক্যান্টিনের খাবারের মধ্যে বিভিন্ন সময় মাছি, তেলাপোকার ডিম পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে অর্ধসিদ্ধ খাবার খাওয়ানোর। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন হলের আবাসিক ছাত্ররা।
হলের আবাসিক ছাত্রদের অভিযোগ, ক্যান্টিনের খাবারে প্রায় পোকামাকড় পাওয়া যায়। পরিপূর্ণ রান্না ছাড়াই খাবার পরিবেশন করা হয় ।তাদের মর্জিমাফিক নির্ধারন করা হয় খাবারের দাম ।এই সব বিষয় অনেকবার জানালেও দায়িত্বরত ব্যক্তিরা গুরুত্বদেন না।
বুধবার(৮ নভেম্বর) দুপুরে ক্লাস শেষে আসিফ নামের এক শিক্ষার্থী খাবার পার্সেল নিয়ে খাবার খাওয়ার সময় লক্ষ করেন খাবারটি অর্ধ সিদ্ধ ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রান্নাঘরে খোলা অবস্থায় পড়ে আছে ভাত পাশে পরিষ্কার হচ্ছে রান্না করার জন্য হাড়ি পাতিল । নোংরা ফ্লোরের উপরেই কাজ করছেন কর্মচারীরা ।
মূল্য তালিকায় দেখা যায় এক প্লেট সরপুটির মূল্য ৭০টাকা , একপিচ রুই মাছের মূল্য ৫০ টাকা এবং এক প্লেট সবজির মূল্য রাখা হয়েছে পনেরো টাকা। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে এক পিচ রুই মাছের মূল্য ৪৫ টাকা এবং এক প্লেট সবজির মূল্য রাখা হচ্ছে পাঁচ থেকে দশ টাকা ।
লুৎফর হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, গত বুধবার দুপুরে আমি ৬০ টাকা দিয়ে একটা বটের টোকেন নিয়ে খাবার খেতে বসি কিন্তু খাবার খাওয়ার পর আমি রীতিমত অবাক হয়েছি ।খাবারে সর্বোচ্চ সাত থেকে আট টি ছোট ছোট টুকরা ছিলো এবং সেটা তখনো সিদ্ধ হয়নি।বিষয়টি ক্যান্টিন ম্যানেজারকে জানালে তিনি বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি । আমরা খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য হল প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানায় ।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন , আমি রাতে খাবার খেতে গেলে খাবারের মধ্যে তেলাপোকার ডিম পাই । প্রথমে বুঝতে অসুবিধা হলে সেটি গুগলে সার্চ দিয়ে দেখি। তারপর নিশ্চিত হয়েছি যে এটি আসলেই তেলাপোকার ডিম ।
তিনি আরো বলেন , একে তো ক্যান্টিনে খাবারের দাম বৃদ্ধি করে চলেছে তার উপর অস্বাস্হ্যকর খাবার পরিবেশন করছে ।হয় এই অবস্থ্যার সমাধান করতে হবে নাহয় ক্যান্টিন পরিচালক চেন্জ করতে হবে ।
ক্যান্টিন ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের ক্যান্টিনে এই রকম কিছু হওয়ার কথা না। আমি নিজে খাবার রান্নার তদারকি করি। অনেক সিনিয়র স্টুডেন্টরাও অন্য হল থেকে এই হলে খেতে আসেন।
খাবারে প্রাপ্ত তেলাপোকার ডিম মাছির ছবির কথা বলা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এমআই