জাবি প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহল ‘অযাচিত হস্তক্ষেপে’ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাঁচ শতাধিক শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদে’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান শিক্ষকরা। বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক শিক্ষকের নাম রয়েছে।
নিবার্চনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতিতে শিক্ষকরা জানান, ‘নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সকল উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বত্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে অনুরোধ করেছেন। আমরা ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ নির্বাচনী তফসিলকে স্বাগত জানাই।’
সংলাপের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি বিতরণ করেছে। ইতোমধ্যে আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করার সব ধরনের উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সময়ে এই ধরনের চিঠি বিতরণ এবং হস্তক্ষেপ শিষ্টচার বহির্ভূত। গত ৪ নভেম্বর নির্বাচনের আমন্ত্রণে সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানালে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৬টি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশগ্রহণ করে। বিএনপি—জামায়াত এবং তাদের সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশগ্রহণ না করে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী বিধিব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘রাষ্ট্রদূতের পাঠানো চিঠিতে ‘ভিসা নীতি’ প্রয়োগের পুরোনো হুমকি ব্যক্ত করা হয়েছে। হরতাল—অবরোধ কর্মসূচির নামে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, শিল্প—কলকারখানা ভাঙচুর, পুলিশ ও সাধারণ পথচারী হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও তথাকথিত মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা রাষ্ট্রটি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। এমনকি সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার দায়ে তাদের উপর ভিসা নীতিও প্রয়োগ করেনি।’
উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি জানায়, ‘সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে এদেশের জনগনের স্বাধীনভাবে নিজের ভোট দেয়ার অধিকার রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের এ ধরণের পদক্ষেপ এদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং দেশের মান মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। উক্ত ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
এমআই