সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
জাতিসংঘের কনসালটেটিভ স্ট্যাটাস অর্জন করেছে বাংলাদেশের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৪ মে) এই প্রেস্টিজিয়াস সম্মাননা লাভ করেছে বেসরকারি সংস্থাটি। নিয়ম মোতাবেক আগামী মাসে জাতিসংঘের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির মিটিংয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন হয়ে অত্যন্ত প্রেস্টিজিয়াস এই "কনসালটেটিভ স্ট্যাটাস" এর ফাইনাল এপ্রুভাল মিলবে বলে জানিয়েছেন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
এ বিষয়ে নিজ ফেসবুক টাইম লাইনে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কনসালটেটিভ স্ট্যাটাস পাওয়ার ফলে এখন থেকে প্রতি বছরে একাধিকবার জাতিসংঘের মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়ার স্থায়ী সুযোগ মিলবে। সাথে ভ্রমণ সংক্রান্ত আরো কিছু সুযোগ সুবিধা। একই সাথে জাতিসংঘের হেড কোয়ার্টার আমেরিকার নিউইয়র্ক ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভা উভয়টাতেই ফাউন্ডেশনের কার্যকরী কমিটির ৫ জন সদস্যের জন্য মিলবে সারা বছরের স্থায়ী গেইট পাশ। বিশ্বের লিডিং এনজিও গুলোর সাথে নেটওয়ার্কিং করার সুযোগতো থাকছেই।
জাতিসংঘের কনসালটেটিভ স্ট্যাটাস পাওয়ার ফলে পুরো বিশ্বে কাজ করার জন্য ফাউন্ডেশনের জন্য উন্মুক্ত হলো আরেকটা বিশাল দ্বার।
নিচে, আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ফেসবুক টাইম লাইন থেকে নেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল :
আলহামদুলিল্লাহ!
ইউ এন এর প্রেজেন্টেশন বলে কথা। তাও আবার আমেরিকার নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘের হেড কোয়ার্টারে। অথচ মাঠ পর্যায়ে কাজে অধিক ব্যস্ততার দরুণ প্রেজেন্টেশন বানানোর জন্য খুব একটা সময় পাইনি। অফিস থেকে যেটা দিয়েছে তা আরো অধিক মডিফাই করা প্রয়োজন। শেষদিকে এসে নিজেই পরিবর্তন করে নিবো। এরকম ভাবছি। এখানের স্পীচ মানুষ আগে থেকেই লিখিত আকারে নিয়ে আসে। এদিকে আমি কথা কি বলবো তাও এখনো রেডী করিনি। চিন্তা করেছি, প্রত্যক্ষভাবে কাজ করার দরুণ যা মনে আসে বলে ফেলবো। সত্য কথাইতো বলবো। নিশ্চয় মহান আল্লাহ সাহায্য করবেন।
কিন্ত আল্লাহ যে এভাবে সাহায্য করবেন তা ভাবনাতেও ছিলনা। ইউ এন এর এই মিটিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী দীর্ঘ দুই-আড়াই বছর যাচাই-বাছাই শেষে মিটিংয়ের চেয়ার নির্বাচিত সংস্থার নামগুলো একটা একটা করে উপস্থাপন করবেন। উপস্থিত দেশ সমূহ কোন প্রশ্ন করলে উপস্থিত সংস্থার প্রতিনিধি উত্তর প্রদান করবেন। তবে কারো কোন প্রশ্ন বা বাঁধা না থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর মিটিংয়ের চেয়ার উক্ত সংস্থা অনুমোদিত বলে রায়/সিদ্ধান্ত দিবেন। এভাবে একেকটা সংস্থার নাম উপস্থাপিত হচ্ছে, কোনটা পাশ হচ্ছে আবার কোনটা প্রশ্ন উথাপিত হওয়ায় উত্তর না পেয়ে আবার কোয়েরীতে চলে যাচ্ছে। আবার হয়তোবা আগামী ছয়মাস বা বছর পর পুনরায় মিটিংয়ে উঠার সুযোগ মিলবে।
আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন এর নির্ধারিত সময় ছিল ২৪ তারিখ বিকাল ৫-৬টা। কিন্ত আল্লাহর ইচ্ছায় এক অজানা কারণে পরিবর্তন হয়ে এর আগের মিটিংয়েই ফাউন্ডেশনের নাম এজেন্ডায় চলে আসে। বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থা জাতীসংঘে আলোচিত হয় বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এনজিও আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের নাম। উপস্থিত কোন দেশের আপত্তি না থাকায় মিটিংয়ের চেয়ার আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে কনসালটেটিভ স্ট্যাটাস এর জন্য অনুমোদন দিয়ে দেন, আলহামদুলিল্লাহ! সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ!
নিয়ম মোতাবেক আগামী মাসে জাতীসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির মিটিংয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন হয়ে অত্যন্ত প্রেস্টিজিয়াস এই "কনসালটেটিভ স্ট্যাটাস" এর ফাইনাল এপ্রুভাল আমাদের কাছে চলে আসবে, ইনশাআল্লাহ।
আজ একদিনের মিটিংয়ে বক্তৃতা, প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ গ্রহণ করার ইচ্ছেয় জাতি সংঘে গিয়েছিলাম। কিন্ত মহান আল্লাহর ইচ্ছা হলো ভিন্ন। অনুমোদন পাওয়ার ফলে এখন থেকে জাতী সংঘের প্রতি বছরে একাধিকবার অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়ার স্থায়ী সুযোগ মিলে গেলো। সাথে ভ্রমণ সংক্রান্ত আরো কিছু সুযোগ সুবিধাও হয়তো থাকবে। একই সাথে জাতী সংঘের হেড কোয়ার্টার আমেরিকার নিউ ইয়র্ক ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভা উভয়টাতেই ফাউন্ডেশনের কার্যকরী কমিটির পাঁচ জন সদস্যের জন্য মিলবে সারা বছরের স্থায়ী গেইট পাশ। বিশ্বের লিডিং এনজিও গুলোর সাথে নেটওয়ার্কিং করার সুযোগতো থাকছেই।
জাতী সংঘের এ অনুমোদনের ফলে পুরো বিশ্বে কাজ করার জন্য ফাউন্ডেশনের জন্য উন্মুক্ত হলো আরেকটা বিশাল দ্বার। আলহামদুলিল্লাহ!
ফাউন্ডেশনের এ অর্জন নিঃসন্দেহে মহান রবের দয়া, ফাউন্ডেশনের সম্মানিত ব্যক্তি দাতাগণ, দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থা, উপদেষ্টা মন্ডলী, কার্যকরী কমিটি, নিবেদিত প্রাণ স্বেচ্ছাসেবকগণ ও প্রতিনিয়ত দোয়া করা শুভকাংখীগণের। সকলকে মহান রব যথোপযুক্ত উত্তম প্রতিদান দিন।
সম্মিলিত প্রয়াসে মানব সেবা এগিয়ে চলুক পুরো বিশ্বজুড়ে।
সময় জার্নাল/ইএইচ