ইমাম সেলিম মালিক খান :
আপনি যখন নীতিবাগীশ হবেন, তখন কিছু লোক প্রশংসা করবে, ভালো বাসবে, বাহবা দিবে।
আপনি যখন সত্যিকারের নীতিবাগীশ হবেন তখন কিছু লোক শত্রুতা করবে, অসম্মান করতে চাইবে, ক্ষতি করতে চাইবে।
সমাজের অধিকাংশ মানুষই সেবাপ্রাপ্তির আশায় বসে থাকে৷ কেউ সেবা পরিচর্যা করেনা। অধিকাংশ মানুষই প্রতারক। হয় সে প্রতারিত, না হয় সে প্রতারণাকে প্রশ্রয় দেয় নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য।
অধিকাংশ মানুষ অভিনেতা।ব্যবসায়ীক অভিনেতা। ভালো সত্য বলার অভিনেতা। সত্য নীতির ব্যবসায়ী। অথচ সত্যকে, নীতিকে প্রাধান্য দেয় না, সত্যকে ধারণ করে না। সেটাকে পরম বিশুদ্ধ হিসেবে মেনে নিবে না কোনদিন৷
এখানে অনেকেই রাজনীতি করেন অযোগ্য আর অপবিত্র মন নিয়ে। ন্যায়নীতি তো দূরে থাক সামান্য একটা কথা বলে না আপনার প্রফিট ছাড়া।
এখানে অনেকেই শিক্ষক। শিক্ষা দেন ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে। তাই ছাত্র তৈরি হয় না। সমাজে ভালো পরিবর্তন আসেনা৷ শিক্ষকগণ ছাত্র থেকে সম্মান আশা করে শিক্ষা দেন না। তাই তো পিতার চেয়ে শিক্ষা গুরুর সম্মান পান না৷ শিক্ষকের পকেটে টাকা থাকে অথচ বুকে সম্মান জোটেনা। কারণ ছাত্রের ব্যাগে শিক্ষা দেয়া হয় না৷
এখানে অনেকেই ডাক্তার জজ ব্যারিস্টার উকিল ইঞ্জিনিয়ার ব্যাংকার হওয়ার জন্য পড়াশোনা করে, কোটিপতি হওয়ার জন্য পড়াশোনা করে৷
তাইতো তারা তাই হয়, মানুষ হওয়ার জন্য পড়েনা৷
তাইতো আমার সমাজ পরিবর্তন হয়ে উঠে না।
আমার কেরানীগঞ্জ-এ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি অথচ মনুষ্যত্ব এর সংখ্যা কয়েকজন।
এটা আমার অভিমত।
দিনের শেষে শিশিরের টুপটাপ শব্দ পতন আমার মন কাড়ে। অথচ হাজার মানুষের স্লোগান কানে মরমে পৌঁছে না।
তাইতো আমি আমার মত ছুটির দিন নিজেকে নিয়ে কথা কই না।
লেখক : আইনজীবী।