লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া হাফিজ উল্যাহ ওরফে বাহাদুর মাঝিকে (৫৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, বাহাদুর মাঝি ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সময় তিনি আদালতের উপস্থিত ছিলেন।
বাহাদুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের পূর্ব চররমনী মোহন গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ভোর রাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ের মধ্য চররমনী মোহন গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মনির হোসেন সজিবের বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৮৫ হাজার ২০টি ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় যুবলীগ নেতা মনির, গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাহাদুর মাঝি ও আব্দুর রহমান নামে দুইজন পলাতক ছিলেন। পরে ৯ জানুয়ারি রাতে একই এলাকা থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। টেকনাফ সীমান্ত থেকে সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারে ইয়াবাগুলো নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক একটি এজাহার দাখিল করে। শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
প্রসঙ্গত, ইয়াবাকাণ্ডে প্রথম মামলায় চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ও যুবলীগ নেতা মনির, ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগের সদস্য আমির হোসেন কারাগারে রয়েছে।
এসজে/আরইউ