ডাঃ আল মামুন :
এটা হলো এক ধরনের ছত্রাক জনিত রোগ (Mucormycosis)।
সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তাদেরকে এটা খুব বেশি আক্রমণ করতে পারে না।
বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের Uncontrolled Diabetes আছে, বা অন্য রোগ আছে তাদের মধ্যে এই ফাঙ্গাসটা বেশি শনাক্ত হচ্ছে।
ইন্ডিয়াতে প্রায় ৭২০০ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ভয়ানক ভাবে বেড়ে চলছে এর আক্রান্তের হার। মারা গেছে ২১৯ জনের মতো।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা করেছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতাল।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কোভিড১৯ এ আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারান্তক ভাবে কমে যায়, আবার কোভিডের চিকিৎসার জন্য স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়, যার জন্য ইমুনিটি আরো কমে যায়।
সে জন্য কোভিডের রোগীদের মধ্যে এই ফাঙ্গাসটা শনাক্ত হচ্ছে।
কোথায় আক্রমণ করে?
সাধারণত এই ফাঙ্গাস আক্রমণ করে নাকে, চোখে এবং মস্তিষ্কে তাই একে Rhino-Orbital-cerebral(ROC) Mucormycosis বলে।
তবে এটা ছোঁয়াছে নয় এবং এক ব্যক্তি হতে আরেক ব্যক্তিতে ছড়ায় না।
এর মৃত্যুর হার অনেক বেশি কারন এটা নাক, চোখ ও ব্রেনে আক্রান্ত করে তাই।
বাঁচার উপায় কি?
> ঘুরে ফিরে একই কথা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
> ব্যায়াম করতে হবে।
> ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে।
> ডায়বেটিস রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।
> অহেতুক স্টেরয়েড এর ব্যবহার বন্ধ করা দরকার।
> খুব শিঘ্রই আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে এর চিকিৎসার জন্য গাইড লাইন দেয়া হবে (লাইন ডাইরেক্টর ডাঃ নাজমুল আলম মুন্না স্যার বলেছেন)।
# পরামর্শঃ
যারা গ্রামে গঞ্জে পল্লী চিকিৎসক (কোয়াক) দিয়ে চিকিৎসা করান তারা সতর্ক হন, কারণ তারা খুব বেশি স্টেরয়েড ব্যবহার করেন।
যা আমাদের ইমুনিটিকে দুর্বল করে দেয়।
অহেতুক এন্টিবায়োটিক দেয় সেটাও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়।
না জেনে উল্টা পাল্টা চিকিৎসা করে তারা।
হাইপারটেনশন, ডায়বেটিস এর চিকিৎসা দেয় দেখি ইদানিং ওষুধের দোকানদাররা।
সতর্ক হন এখনই। জীবনটা আপনার, এর সুরক্ষার দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে।
অন্তত এক জন MBBS চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যে কোনো সমস্যাতে।
লেখক : ডাঃ আল মামুন
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
জেনারেল প্রাকটিশনার।
সময় জার্নাল/ইএইচ