সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
প্রথমবারের মতো বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে যাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মূসা হাশেমী।
টানা পাঁচ ঘন্টা সাঁতার কেটে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সাগরপথ পাড়ি দিতে সফল হলে তিনি হবেন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষার্থী।
বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে আগামী ৩০ নভেম্বর ১৮ তম ‘ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার ২০২৩’এ অংশ নেবেন তিনি। ‘ষড়জ এডভেঞ্চার’ এবং ‘এক্সট্রিম বাংলা’ এর আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হবে। এতে তার সাথে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন দেশ বিদেশের আরও ৩৫ জন সাঁতারু।
মূসা জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগামী ২৬ নভেম্বর বিকেলে ক্যাম্পাস থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন তিনি। এবং ২৮ ও ২৯ নভেম্বর সেখানে প্র্যাক্টিস সেশনে অংশ নেবেন। এ প্রতিযোগীতায় তার স্পন্সর হিসেবে রয়েছেন ‘আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ এলামানাই এসোসিয়েশন’ এবং ‘হক ল একাডেমি’।
এর আগেও তিনি রাজশাহীতে ২০ কিলোমিটার পদ্মা সুইমিংয়ে অংশ নিয়ে সফল হয়েছেন। এবার বাংলা চ্যানেল জয় করে উদযাপনের সময় জাতির সামনে তুলে ধরতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা।
মূসা হাশেমী বলেন, ‘বাংলা চ্যানেল পার করতে হলে আমাকে প্রায় ৫ ঘন্টা টানা সাঁতার কাটতে হবে। কোন ধরণের সাপোর্ট বা সহায়তা নেয়া যাবে না। এর আগে আমি রাজশাহীতে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদীতে সুইমিং করেছিলাম।
ক্যাম্পাসে সুইমিং বা সাঁতার কাটার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় ক্যাম্পাস থেকে ৩.৫ কিলোমিটার দূরে পিয়ারপুর কুমার নদে নিয়মিত প্র্যাকটিস করছি। বাংলা চ্যানেল বিজয় করে উদযাপনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই।’
সুইমিং ছাড়াও বিভিন্ন ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত খুলনা, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জে তিনটি হাফ ম্যারাথনে অংশ নিয়ে সফল হয়েছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের উদ্দ্যেশ্যে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া শহর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার পথ দৌড়ে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে রোভার স্কাউট ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলা চ্যানেলে নিয়মিত বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশের সাঁতারু ও সাঁতারপ্রেমীরা। সর্বপ্রথম ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার কাজী হামিদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল শাহপরীর দ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগরে ১৬.১ কিলোমিটার সাঁতার কেটে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছান। এবং তিনিই সাঁতারের এ পথের নামকরণ করেন ‘বাংলা চ্যানেল’।
সময় জার্নাল/এলআর