আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর একজন ফিলিস্তিনি বন্দী তার মাকে জড়িয়ে ধরেন। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা আরও ৩০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়ায় ৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যে এটি সপ্তম ধাপে বন্দী ও জিম্মি বিনিময়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে ২ জন শিশু ও বাকি ৬ জন নারী। তাদের মধ্যে আবার কয়েকজন বিভিন্ন দেশের দ্বৈত নাগরিক। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, এই ৮ জনকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি কারা বিভাগ জানিয়েছে—তারা আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।
অপরদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের দখলকৃত জেরুজালেমে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটা সেই হামলায় তিন ইসরায়েলি নিহত এবং আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ সকাল পৌনে ৮টায় জেরুজালেমের এক জনাকীর্ণ বাস স্টপেজে দুই অস্ত্রধারী এই হামলা চালায়। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসরায়েলি পুলিশ বলেছে, সকালের কর্মব্যস্ত সময়ে দুই ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী একটি গাড়িতে চেপে জেরুজালেমের একটি বাস স্টপে আসে এবং অপেক্ষমাণ যাত্রীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ২ জন এবং আহত হন আরও ৮ জন। হতাহতরা সবাই ইসরায়েলের নাগরিক।
এরপর নিহতের সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়ায় তিনে। এর মধ্যে ২৪ বছর বয়সী এক নারী এবং সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ রয়েছেন। পুলিশ আরও জানায়, এম-১৬ রাইফেল ও হ্যান্ডগান বহনকারী দুই অস্ত্রধারীকে সেখানেই হত্যা করা হয়েছে। তাদের গাড়ির ভেতর আরও গোলাবারুদ পাওয়া গেছে।
এমআই