ডাঃ আহমেদ জোবায়ের:
আমাদের দেশের মানুষ ও মিডিয়া বড়ই অদ্ভুত। এখানে মিডিয়ায় গুজব রটিয়ে দিতে পারলেই হলো।
গুজব দিয়ে যেমন আতংক ছড়ানো যায়, তেমনি ভালো ধান্ধাবাজি করে ম্যালা টাকা ইনকামের সুযোগ তৈরি হয়।
কোভিড ১৯ এর শুরুতে বাঙ্গালী বাজার থেকে এজিথ্রোমাইসিন,রিকোনিল, ভিটামিন সি, ডক্সিক্যাপ, আইভারমেকটিন, ভিটামিন ডি, জিংক, ফ্যাভিপিরাভিরের স্টক শেষ করে ফেলছিলো।
এমন আজব ও মূর্খ প্রজাতির মানুষ দুনিয়ার আর কোথাও দেখা যায়না।
দুনিয়ার কোন দেশের মানুষ আন্দাজি মুড়ি মুড়কির মত মেডিসিন গিলেনা।
হঠাৎ করে দেখি চারদিকে কালো ছত্রাক বা ব্ল্যাক ফাংগাস নিয়ে খুব মাতামাতি।
চারদিকে আতংক।
বিজ্ঞান বিমুখ জাতি হুদাই আতংকিত হবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি?
সবার মাতামাতি দেখে মনে হচ্ছে এই ফাংগাস কোটি কোটি মানুষকে মেরে ফেলবে।
আশার কথা শুনেন।
এটা নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই।
রোগটার কেতাবি নাম Mucormycosis একটা Group of fungi এটা করে যাদের নাম Mucormycetes.
এই ফাংগাস আমাদের চারপাশে কোটি কোটি আছে।
মাটিতে, শুকনো পাতায়,পশুপাখির বিষ্টায় এরা থাকে।
এই ফাংগাসের সংস্পর্শে আমরা প্রতিদিন আসি।
এটার সংস্পর্শে আসলে না এসে থাকা অসম্ভব।
কিন্ত আমরা কি সবাই মরে গেছি।
কোভিড ১৯ আসার হাজার বছর আগ থেকেই আমাদের পরিবেশে,মাটিতে এই ফাংগাস আছে।
এটা সবার জন্য ক্ষতিকর নয়।
কাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে?
যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
ক্যান্সার পেশেন্ট
কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট এর রোগী
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের রোগী।
যারা দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় মেডিসিন খান Severe Burn patients আয়রন ওভারলোড হয় যাদের বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের।
যাদের নানা কারণে ইমিউনিটি কম্প্রোমাইজড- শুধুমাত্র তাদের জন্য এই ফাংগাস Serious but rare infection করে থাকেন।
শব্দটা খেয়াল করুন Serious but Rare ..
এই ফাংগাস ছোঁয়াচে রোগ নয়।
এটা মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না।
এবং এই রোগে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা আছে।
বাংলাদেশী বিকন ফার্মার ইঞ্জেকশন বাজারে পাওয়া যায়।
অযথা আতংকিত হবেন না।
চিকিৎসক ছাড়া মিড়িয়ার কথায় ফাল দিবেন না।
কোভিডে ১৯শে কিছুই মানছেন না।
অন্তত মাস্কটা পরুন।
আরেকটা কথা গোবরে এই ফাংগাস থাকে।
যারা কোভিডের চিকিৎসায় গোবর মাখেন সারা শরীরে, তাদের এই ফাংগাসে আক্রান্ত হবার চান্স বেশি।